আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনৈক বদর আজিজের বিখ্যাত হইয়া ওঠন-২



কে এই বদর আজিজ? কি তার পরিচয়? এই গুণধর বদর আজিজ উটের জকি হিসেবে ১০ বছর বয়সে সৌদি আরব যায়। সেখানে সাড়ে ৬ বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে সে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর তার স্ত্রী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বদর এবং তার পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। বিচারের পর তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

সেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকতার কামাল এবং আজিজের আপন বড় ভাই ইউপি সদস্য আহমদ হেলালী বলেন যে, বদর আজিজের স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। দৈনিক ‘আমার দেশের’ ভাষায় আজিজ চুরি-চামারিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত, সে মাদকাসক্ত। এসব অপকর্মের কারণে এলাকার লোক তাকে উত্তম মধ্যম দেয়। তার শরীরে এবং মাথায় গণপ্রহারের চিহß এখনও বর্তমান আছে বলে ঐ পত্রিকাটিতে দাবি করা হয়েছে। পরিবারের কোনো সদস্যের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই।

সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। সে খুটাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। কিন্তু খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই নামে তাদের ইউনিয়নে কোনো আওয়ামী লীগ কর্মী নাই। এ প্রসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন এসে যায়। তবে বদর আজিজের অতীত ও বর্তমান জানার পর সেসব প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই পাওয়া যায়।

গ্রেনেড হামলার পর এ সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্সী গ্রেনেড হামলার তদন্ত করে। পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত করেছে সিআইডি। তদন্ত টীমের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ‘এফবিআই’।

তদন্ত করে গেছে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা ‘ইন্টারপোল। ’ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারিভাবে গঠিত আইনজীবীদের একটি তদন্ত টীম তদন্ত করেছে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ। ৬টি টীম নিজ নিজ অস্থান থেকে তদন্ত করলো।

তদন্ত শুরু করে প্রতিটি টীমই সাক্ষী সাবুদ এবং তথ্য প্রমান দাখিলের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। বদর আজিজের কাছে যদি ২৮ জন নেতার বিরুদ্ধে এমন একটি যুক্তি প্রমাণ থেকেই থাকে তাহলে বদর আজিজ সেসব যুক্তি প্রমাণ এসব টীমের কারো কাছেই দাখিল করল না কেন? ঘটনা ঘটেছে আজ থেকে ২ বছর ১০ মাস আগে। এতদিন সে কোথায় ছিল? তখন কেন সে নড়াচড়া করে নাই? শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যখন চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয় তখন জেনারেল মতিন বলেছিলেন যে ঘটনা ঘটার এতদিন পরে কেন এই অভিযোগ দায়ের করা হলো? কি তার রহস্য? টাস্কফোর্স সেটা খতিয়ে দেখবে। প্রয়োজনে অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর পুলিশ অভিযোগকারীর কাছে যায় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আলোচ্য অভিযোগের ক্ষেত্রেও সরকারের একই পদ্ধতি প্রয়োজ্য হওয়া উচিত। এতদিন সে কোথায় ছিল? কেন এতদিন সে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেনি? এসব প্রশ্ন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। (আরও আসছে) >>চলছে চলবে>>

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.