মাথা উঁচু আকাশ বলে বিস্তৃত ঐ সাগরকে “কোন সাহসে আমার রঙ ধরেছিস তোর বুকে?” হেসে বলে জলধি “এই তবে অনুযোগ আমা প্রতি- আর যখন আমার বুকে তোমার রবির ঘটে ইতি?” “ও!মোর দ্বিরত্নের টানে যে জোয়ার-ভাটা তোর বুকে, আমি নীলিমা করলে বারণ তোর ল্যাঠা তো যাবে চুকে”। “কী ভয়ানক!উড়ন্ত ঐ জলধর,আমার জলে যাদের তনু- তোমার বুকে ফুটিয়ে তোলে কী অপরূপ রংধনু ! রংধনুর পাখায় নাচে হাজার রঙের বাহার- যার রূপেতে মুগ্ধ এই সমুদ্র হই একাকার”। “রংধনুটা আঁকতে বল ঐ মেঘেদের সূর্যবিহীন… সূর্যই প্রধান,আমার সূর্য ছাড়া সবই মলিন। যার কল্যাণে মেঘ বৃষ্টি নামায় তোর মাঝে, তবু আমার নিকুচি করিস সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে?” “হাহাহা!আমার কাছে ধার করা জল ঐ মেঘেরা ফিরিয়ে আবার দেয় আমাকে।তুমি পাগলপারা। জেনে রেখ,এ পৃথিবীর সিংহভাগই এই যে আমি, জল বিলাতে করিনি অণুমাত্রও কিপ্টামি”। “এ-ই তাহলে দাম্ভিকতা তোরি মনে? আসল কথা জেনে রাখ তবে এই ক্ষণে- বিশ্বজগত ছড়িয়ে আছি ছাতার মতো মোর ছায়াতলে আছিস তোরা কূয়া যতো”। “উহু!ওসব রেখে চলো বন্ধু সত্য নিয়ে মাতি- তুমি আমি সবাই মিলে গঠিত এই বিশ্বপ্রকৃতি, একে ছাড়া অপর অচল-এটাই চিরশাশ্বত রীতি বজায় থাকুক সবার মাঝে মহাজাগতিক সম্প্রীতি”।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।