আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিনকাল

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

উইকএন্ডটা বেশ ভালোই কেটেছে। একটা গ্রিল পার্টি ছিল। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাগে ছিলো মুরগীর ঠেঙ+মসলা+উইংস।

তিনজন রাত প্রায় ১২:৩০ পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে কাজ করেছি। রবিবার সবাই নিজ নিজ পোটলা নিয়ে পার্কে হাজির। বেশ বড়ো পার্ক। আবহাওয়া ভালো থাকলে তো কথাই নেই। সবাই গ্রিল নিয়ে হাজির।

তাই ছুটির দিনে একটু আগে গিয়ে জায়গা বুকড করতে হয়। পার্কে সারাদিন বড়রা আড্ডা, বাচ্ছাগুলো খেলায় ব্যস্ত,কেউ বা সানবাথ,কেই বাইকিং,কেই জগিং। পার্কে বিরাট একটা পুকুর আছে। এবার দেখি অনেকগুলো বিভিন্ন রকমের হাঁস,পাখি। সবগুলোই বাচ্চা নিয়ে ঘুরছে।

এই প্রথম রাজহাঁসকে বাচ্চা সহ দেখলাম। কিছু পাখিকে তো চিনতেই পারলাম না। পুকুর ভর্তি বিরাট বিরাট মাছ। এখানে শিকার নিষিদ্ধ। তাই মাছ, হাঁস মরে পুকুরে ভাসছে কেউ কোনই কেয়ার করছে না।

পুকুর পাড় দিয়ে ঘুরতে গিয়ে ঝোড়ঝাড়ে ভিতর বিভিন্ন রঙয়ের অনেকগুলো খরগোস দেখলাম। মানুষ দেখে খুব একটা ভয় পায় না। গ্রিলের প্রথম দিকে পাবলিক খাওয়ার জন্য একটু ডেসপারেট থাকে। একটু পর সবাই ঠান্ডা। শেষে দেখা যায় খাবার অনেকগুলো থেকে যায়।

প্রথম সেশনে খেয়ে সবাই ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত। ভাবীরা বসে আড্ডা। দুই ইনিংসয়ে বেশ ভালোই রান করেছি। পার্টটাইম বোলিং করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত শরীর ব্যথা। ছুটির শেষ দিন পরের ৫ দিনের কথা চিন্তা করে মন খারাপ হয়ে যায়।

আবার ভোরে ঘুম থেকে উঠা, দৌড়ে ট্রেন ধরা, হাপাতে হাপাতে অফিস। বৃহস্পতিবার ছিলো সরকারী ছুটি। পাবলিক শুধু ঘুরতে চায়। আজকে এক গার্ডেন তো কাল মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামটা আমার কাছে এলার্জি।

ওখানে গেলে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। বড় ভাইদের ঝাড়ি খেয়ে ন্যাচারাল মিউজিয়াম দেখতে গেলাম সবাই। সব রকমেরই জীব-জন্তর অবিকল প্রতিকৃতি বানিয়ে রেখে দিয়েছে। দেখে বুঝার উপায় নেই যে এগুলো শুধুই প্রতিকৃতি। বিভিন্ন রকমের ডাইনোসর থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রানিগুলো।

স্হল,জল সব জায়গার প্রানিই আছে। আমার আবার এগুলো দেখতে খুব অল্প সময় লাগে। সবাই খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে। টেকনোলজি দেখে বেশ ভালো লাগলো। রিসেপশন থেকে একটা ডিভাইস ফ্রি দেয়।

দেখতে আইপডের মতো। সাথে এয়ারফোন। প্রায় প্রত্যেকটা প্রানির প্রতিকৃতির সামনে একটা নাম্বার আছে। ডিভাইসে নাম্বার টিপে প্রেস করলে ঐ প্রানির বিস্তারিত এয়ারফোন দিয়ে শোনা যায়। বাচ্চারা বেশ এনজয় করে।

দিন এখন বেশ বড়ো। মিউজিয়াম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও ৩/৪ ঘন্টা বাকি ছিলো সন্ধ্যা হতে। সবাই মিলে নদীর পাড়ে আড্ডা। অফিসের সবাই এখন দৌড়ের উপর। প্রজেক্ট রিভিউ চলছে।

বস,ম্যানেজার সবাই বেসবল বেট নিয়ে বসে আছে। ডিশুম,ডাশুম চলছে অহরহ। লাঞ্চে কারো কারো চেহারা দেখলে বুঝা যায় কার উপর দিয়ে কতো কি:লো. বেগ ঝড় গেছে। আমার ঝামেলা একটু কম। লো-লেভেল প্রোগ্রামিংয়ে মহা ঝামেলা।

এতো লয়ার লেভেলে আগে কাজ কাষ্টমার লেভেলে কাজ করিনি। এখন ঠেলায় পড়ে করতে হচ্ছে। হাজার রকমের এয়র। সবচে খারাপ হচ্ছে ফেটাল এররগুলো। এক একটা মডিওয়ে হাজার লাইনের প্রোগ্রাম।

ফেটাল এরর খুজে পাওয়া একটা মহা ঝামেলা। সপ্তাহান্তে আবার আখেন,কোলন যাওয়ার একটা প্লান আছে। তিনদিন বন্ধ। একটা ঘুরান দিয়ে আসি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।