জিনার বিয়ে গেল ১১ই মার্চ। ভার্সিটির আমাদের শক্তিশালি গ্রুপটার দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ে। আমাদের ৯ জনের সেই গ্রুপের মাত্র তিনজন উপস্থিত ছিলাম বিয়েতে। আমি, শিপলু আর পিংকি। তাও আবার পিংকির সাথে আমার আর শিপলুর দেখা হয়নি।
তাআন্না কানাডা। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই আছে--ওর পক্ষে উপস্থিত থাকা সম্ভবও ছিলনা। টিটুতো অনেক দিন যাবংই নিখোজ। সেও বাদ।
বাকিদের মধ্যে শৈবাল এমবিএ শেষ করে সেই যে ঢাকা ছাড়লো, এদিকে আর পা বাড়ালো না।
আমার বিয়েতে আসলো না, সমাবর্তনে আসলো না। জিনা দাওয়াত দিতে ফোন করেছিল, ও বলেছে--বাহ্, খুব ভালো তো। একটা গেট টুগেদার হবে। অনেক দিন পর...
শাওনের কাছ থেকে যখন এ খবর শুনলাম, দুজন্ই একটু হেসে নিলাম।
তখনও জানতাম না যে শাওনও বিয়েতে আসছে না।
অফিসের কী একটা কাজে ঢাকার বাইরে যেতে হবে। (পরে জেনেছিলাম, অফিসের পিকনিক-টিকনিক কিছু একটা ছিল)।
নজরুল আজকাল গৃহবন্দী করে রেখেছে নিজেকে। চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত সমাবর্তন হোক আর বান্ধবির বিয়ে হোক, সব সমান। পণ করেছে কাউকে মুখ দেখাবে না।
--আল্লাহ ওকে একটা ভালো চাকুরি দিন।
আমি আর শিপলু বিয়ে খেলাম। শুধু খেলামই। খাওয়া শেষে নবদম্পতির সাথে গোটা দুই ছবি উঠে বিড়ি টানতে টানতে দুজন দুজনের পথ ধরলাম।
জিনা শুধু একবার বললো --ওদের কারও সময় হলো না! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।