সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
প্রফেসর ইউনূস ভারতের টিভি চ্যানেল ইটিভি বাংলার দেয়া সেরা বাঙালি-2007 পদক নিতে গেছিলেন কিছুদিন আগে। চ্যানেল আইতে এ সংকান্ত একটা খবর দিচ্ছিলেন চানেল আই-এর কলকাতা প্রতিনিধি। খুব সম্ভবত তার নাম পরিতোষ পাল। কলকাতায় ইউনূস কী কী বলছিলেন তার ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন তিনি।
ইউনূস কোনো এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশে বসে আমি কলকাতার সব টিভি চ্যানেল দেখতে পাই, কিন্তু কলকাতায় বসে বাঙলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল দেখতে পেলাম না।
কথাটা সত্য। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ লোকের ভাষা বাংলা হওয়ার পরও কলকাতায় বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলা দেখা যায় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যদি এরকম ঘটনা ঘটতো তবে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির রকরা অবস্থান ধর্মঘট করে, প্রতিবাদ সমাবেশ করে নিজেদের ঘামে শহীদ মিনার ভিজিয়ে ফেলতেন।
কালকে বসুন্ধরা সিটিতে কোয়াবে সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সেখানে কেবল অপারেটরদের নেতারা বললেন ভারত যদি আমাদের টিভি না দেখায় তবে আমরা আর দেখাবো না। সবাই বোঝে, এইটা শুধু কথার কথা। এই ঘটনা অনেক দিন ধরে চলতেছে। কিন্তু তাদের বোধোদয় এত পরে কেন ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। কলকাতার অপারেটররা কেন বাংলাদেশের চ্যানেল দেখাতে চায় না? প্রথমত, এখানকার টিভিগুলো ওদের সমান সমান বা কিছু কিছু েেত্র ভাল কিছু কিছু েেত্র মন্দ।
ফলে প্রতিযোগিতা তো হবেই। ফলে ওদের চ্যানেলগুলোতে হিন্দি চ্যানেলের পাশাপাশি বাংলাদেশী চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। দ্্বিতীয়ত ও সবচেয়ে বড় কারণ, ওখানকার ব্যবসায়ীরা চায় না বাংলাদেশের চ্যানেল দেখানো হোক। কারণ চ্যানেল দেখানো মানেই বাংলাদেশের উৎপাদিত কমোডিটির প্রসার। ওখানে বাংলাদেশের প্রসাধনী দ্রব্যের বিশাল বাজার।
এই বাজার রুখতে তারা রীতিমতো আমাদের প্রসাধনী দ্রব্য আমদানী বন্ধ রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীরা বলার পরও ওখানকার কর্তাব্যক্তিরা গা করছেন না। বাংলাদেশের টিভি ওখানে চললে চাহিদার সঙ্গে চাপও বাড়বে।
কয়েকদিন ধরে সিপিডি বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করলো। সেখানে বলা হলো, মিডিয়া নাকি সম্পর্ক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে।
কথাটা পেপারে পড়লাম আর হাসলাম। মিডিয়ার বিনিময় আছে নাকি? বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ইনডিয়ায় পিকনিক করতে পাঠালেই কি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে?
বাংলাদেশের লেখকরা আজীবন তো কলকাতাকেই কাশী ভেবে এলেন । কিন্তু কী লাভ হয়েছে? ভারতের বিক্রেতারা বাংলাদেশের বই রাখে নাকি? এদেশের বই সেদেশের পাঠকরা পড়ে নাকি? আর আমরা তো ওনাদের বই বিক্রি করতে করত আর কিনতে কিনতেই বুড়ো হতে চলেছি। কলকাতা ভারত নয়, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কআলোচনা করতে হলে নতুন করে মহাভারত লিখতে হবে।
সিপিডির আলোচনায় এরকম নানা কাল্পনিক সমাধান দেওয়া হয়েছে।
এগুলো নিয়ে ফিকশন লেখা যায় কিন্তু বাস্তবে কোনো ঘটনা ঘটনো সম্ভব না।
কাল আবার টিভিতে দেখলাম, বিআইআইএসএস একটা আলোচনার আয়োজন করেছে। আলোচনার বিষয় ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশনস : টেরোরিজম ইন পার্সপেক্টিভ। সেইখানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ও লিলুফার ইয়াসমিন। টেরোরিজম নিয়ে আলোচনায় ইন্দো-বাংলাদেশ সম্পর্ক বড়ই মধুর বিষয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম, নর্থইস্ট ইন্ডিয়া আর লস্কর-ই-তাইয়েবা, জৈশ-ই-মুহম্মদ সঙ্গে জেএমবি বা হরকাতুল মুজাহিদ ইত্যাদি একটা আলোচনার জন্য বিশাল বিষয় বটে। কথা বললেই বলা হয় বটে। লেকিন সব কথা কি বলা যায় রে ভাই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।