যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ভাষার ব্যাপারে মুন্ধতা, ভাষার যোনী অক্ষত রাখা এবং সেখানে ভিনদেশী প্রভাব কিভাবে সংক্রীর্ণতা তৈরী করছে সেবিষয়ে রাসেলের দৃষ্টিভংগি প্রকাশিত হয়েছে সারিয়ার জন্মদিন নিয়ে লিখিত তার বক্তব্যে। ভাষার কৌলিণ্য রক্ষার তার যুক্তির সাথে আমি একমত নই। যদিও একমত না হওয়াটা আমার উচিত হচ্ছে না, কারণ এটার সাথে দেশকে ভালবাসার মত একটা সেনসেটিভ ইসু্য জড়িত। কিন্তু আমি একমত হতে পারছি না, কারণ আমার কাছে এটা একটা অসম্ভব স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।
আমরা যখন কথা বলি তখন যে শব্দগুলো আমাদের বেশী ব্যবহার করতে হয়, সেগুলো মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে, জিহবার ডগায় সিচুয়েশনাল হয়ে থাকে, ঘটনা ঘটতে বাকী, শব্দটা সে স্বদেশী হোক বিদেশী হোক নিক্ষিপ্ত হয় বিক্ষিপ্তভাবে, তাতে সমাজ, দর্শন, দেশপ্রেম সংকটাপন্ন হয়ে যায় কখনও , আবার তাকে ভাষার প্রবাহমনতা বলে এড়িয়ে যাই সযতনে।
এখন সাংঘর্ষিক অবস্থান হচ্ছে এ জন্য যে, ভাষার প্রমিত অবস্থানকে ধরে রাখার দায়িত্ব কার, এবং কে সেটা কাকে দেয়! বিজাতীয় সংস্কৃতি আমার ভাষায় ঢোকা আর বিজাতীয় খাদ্য, পন্য আমাদের ড্রইং রুম, শোবার ঘর, বুক পকেটে, ফ্যাশন দখল করা একই রকম একটা ঘটনা বৈকি। ভাষায় শব্দের অনুপ্রবেশ যদি অপছন্দনীয় হয় তবে মুক্ত বাজারে সব বিজাতীয় পন্যের তালিকা টাঙাতে হবে থানায় থানায়, মোস্ট ওয়ান্টেড বক্সে।
আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের যা দিচ্ছে তাতো আমরা মহাআনন্দে গিলছি। সেখানে জটিল সামাজিক, ধমর্ীয় অনুভূতি সমুন্নত রাখার সাথে সাথে নায়িকার স্তন্যের একটু কোনা দেখিয়ে আমাদের সুড়সুড়ি দিচ্ছে, সেটাতো আমাদের রুচী বুঝেই যে এ কন্টিনেন্টের মানুষ একটু রেখে ঢেকে স্থুলতা পছন্দ করে, চায়ের সাথে টোস্টের মত। শুধু টোস্ট এখানে এখনও নিষিদ্ধ।
সুতরাং পছন্দ যখন মানুষ তৈরী করছে তখন সে মানুষের কোন ধরণের ভাষার ব্যবহারে কৌলিণ্যতা ধ্বংষের সম্ভাবনা আমি দেখিনা। এটা আমার স্টান্ডিং।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।