অন্তরের আলোয় দেখেছি যারে - ১
আমার চারপাশে এখনো কোন বাসন্তী হাওয়ার মেলা বসেনি। একলা আকাশ চমৎকার কোন আহ্বানে সাড়া দিতে শরীরে জড়ায়নি ঘন নীলের আবরণ। রোদ্দুর তার প্রিয়তমা জোছনার সাথে মিলিত হবে বলে আলগা করেনি এখনো উত্তাপের রেশ। সবকিছু ঠিক তেমনি আছে, যা ছিল আগে। অথচ হৃদপিন্ডের দেয়াল বেয়ে টুপটাপ ঝরে পড়ছে আনন্দের বারিধারা।
মনের সোপান ধরে হেঁটে আসছে সেই সুর, "স্বপন পাড়ের ডাক শুনেছি..."।
আমি কখনো স্বপ্নলোকের চাবি হাতে নিয়ে দেখিনি কেমন তার আকৃতি। আমি কখনো মেঘের তনু ছুঁয়ে অনুভব করিনি কতটা ভেজা তার শরীর। সমুদ্রের অতলে ডুব দিয়ে বুঝিনি কতটা শুন্যতা ধরে রাখে সে। এই এখন, এই মুহূর্ত্তে কারো সাড়া পাবার পরেই মনে হলো, একাকিত্ব বলে কোন কথা নেই।
প্রতিটি মানুষ নিজের ভেতরে ধারণ করে কোন প্রিয় মুখ। সেই মুখ যদি বিস্তর ব্যবধানেও থাকে, সেই মুখ যদি সায়াহ্নের প্রদীপ দীপ্ত আলোয় দু'চোখ তুলে না'ও তাকায়, যদি কোন মোহনীয় রাত্রির লজ্জা সরিয়ে না বলে, "আমিতো আছি তোমার জন্মান্তরের আত্মীয় হয়ে", তবুও কোন দুঃখ নেই। কেননা আমার অস্তিত্বে তার নিরন্তর চলাচল, উচ্চারণ সেখানে নিষ্প্রয়োজন।
আমার বিষণ্ন পথচলায় হুট্ করে নেমে আসুক ঝমঝমে বৃষ্টি, তা আমার কখনোই কাম্য নয়। আমি চাইনা কোন কোমল হাতের ছোঁয়ায় উর্বর হোক আমার মানবজমিন।
কখনো চাইনা অনেক পথ হেঁটে এসে কান্ত হোক আমার একান্ত আপনজন। আমি শুধু চাই তার হাজারো ব্যস্ততা থেকে একটু সময় আমাকে দিক, আমার ক্ষণিকের নিঃসঙ্গতাকে সে ভরিয়ে তুলুক। প্রিয়তমা রাত্রির কোমল পরশ ভুলে ঘুমের মাঝেও আমার দিকে ভাসিয়ে দিক তার স্বপ্নের সাম্পান। আমি চাই তার কোলাহলমুখর জীবন থেকে কিছুটা সময় বাঁচিয়ে অন্তত একটা মুহূর্ত্ত সে আমার জন্য চুপচাপ বসে থাকুক। আমি চাই তার ঝলমলে আলোর মিছিলে আমার জন্য সাজিয়ে রাখুক এক টুকরো অন্ধকার।
আমি সেই অন্ধকারেই বুঝে নেব, আলো না থাকলে অন্তরের আলোতেই দেখে নিতে হয়।
চলবে-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।