মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন কেবল বাংলাদেশেই প্রায় ৩০ লাখ পিস ইয়াবা আসছে।
আর এ জন্য মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের আটটি সংগঠন গড়ে তুলেছে ৩৭টি ইয়াবা কারখানা। মুখোশধারী চোরাচালানিদের হাত দিয়ে এসব মাদক পেঁৗছে যাচ্ছে দেশের অলিতে-গলিতে। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। বাড়ছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।কীভাবে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন প্রযুক্তির যুগ। একবার হ্যালো করলেই তো হয়ে যায়। মোবাইল ফোনে সহজে কথা বলে আন্ডার গ্রাউন্ডের ব্যবসায়ীদের রকমভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়। দামদর ঠিক হলে পাচারকারীর মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করি। ইয়াবা কখন পেঁৗছাবে, এখন কোনো জায়গায়, কোনো সমস্যা হয়েছে কি না এসব বিষয়ে মোবাইলে কথা বলে নিই।
তবে মোবাইলের একটি নম্বর আমরা বেশি দিন রাখি না। বারবার ফোন নম্বর পরিবর্তন করি।
অনেক সময় মোবাইলে রূপক অর্থ ব্যবহার করেন বলে জানান এই ইয়াবা ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, কথা বলার সময় যদি অপরিচিত মানুষের সামনে পড়ে যাই তখন ইয়াবাকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করি। অনেক সময় বিভিন্ন সংকেতও ব্যবহার করতে হয়।
যেমন ইয়াবার দাম ও আকার নির্ধারণ করতে বলি বড় ভাই কত, ছোট ভাই কত বলে। অন্য একজন বলেন, যদি কেউ অপরাধ করে থাকেন তবে তারা প্রশাসনের লোক ও সরকারের এমপি মন্ত্রীরা। তারা অর্থের বিনিময়ে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকছেন।
তিনি বলেন, টেকনাফে ব্যবসা করতে হলে প্রত্যেককেই পুলিশ, বিজিবি. কোস্টগার্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে টাকা দিতে হয়। এই টাকার ভাগ নেন গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও।
স্থানীয় রাজনীতিবিদদের এজেন্টরাও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেন। অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, ইয়াবা ব্যবসা অবৈধ হলে এত ইয়াবা আসে কেন? তাছাড়া যেসব ইয়াবা ধরা পড়ে সেগুলোইবা কীভাবে আবার ব্যবসায়ীরা পান?
স্কুল শিক্ষক আবদুল মোতালেব বলেন, এই ব্যবসা একটি ঘৃণিত ব্যবসা হলেও এখানকার ব্যবসায়ীদের কেউ এটাকে খারাপ ব্যবসা হিসেবেই দেখতে চান না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রশাসনের দুর্নীতি ও জেগে জেগে ঘুমানোর কারণে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এটা খারাপ ব্যবসা হলে প্রশাসন টাকার বিনিময়ে ছাড় দিত না। একজন বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, 'কঙ্বাজার প্রশাসনের লোকজনের জন্য টাকা কামানোর কারখানা। যে কারণে টাকা কামাতে এখানে বদলি পেতে প্রশাসনে নিলামের ব্যবস্থা হয়।
কে কার চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে ইয়াবা রুটে বদলি পাবেন তার প্রতিযোগিতা চলে। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।