আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইচএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

অধ্যায় : বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কতিপয় সংস্থার ভূমিকা :

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর :

উদ্দীপক ১ : জনাব তাওহিদ হোসেন জাতিসংঘের একটি সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করছেন। তার চেষ্টায় বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, গো-সম্পদ, মৎস্য সম্পদ ও বনরাজির প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিশ্বকে ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করাই তার সংস্থার প্রধান লক্ষ্য।

ক. ইউনিসেফ কী?১

খ. আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা বলতে কী বোঝায়?২

গ. জনাব তাওহিদ হোসেনের কাজগুলো জাতিসংঘের কোন শাখার কাজ_ ব্যাখ্যা কর।৩

ঘ. জনাব তাওহিদ হোসেনের সংস্থাটির মূল লক্ষ্য কী হতে পারে বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও। ৪

প্রশ্নোত্তর

উত্তর ক : ইউনিসেফ হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষ কল্যাণমূলক সংস্থা। যা শিশুদের রক্ষা এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করছে।

উত্তর খ : আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা লিগ অব নেশনস এর সহযোগী সংস্থা হিসেবে ১৯১৯ সালে গড়ে ওঠে। ১৯৪৬ সালে এটি জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি বিশ্বব্যাপী শ্রমিক সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণ ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর সদরদফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত।

উত্তর গ : জনাব তাওহিদ সাহেবের কাজগুলো জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ঋঅঙ (ফাও) এর কাজ। ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং অনাহার থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য জন্ম হয়েছে ফাও এর। ১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পুষ্টি ও খাদ্যমান বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের জীবনধারণের মানোন্নয়ন, কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, জমি ও জলাশয়, গো-সম্পদ, মৎস্য সম্পদ ও বনরাজির উন্নয়নে এ সংস্থা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগ, খাদ্যাভ্যাস, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পসারণে সহায়তা প্রদান এ সংস্থার মূল লক্ষ্য।

উত্তর ঘ : জনাব তাওহিদ রহমান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। সমগ্র বিশ্বকে ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য হলো_

১. ফাও-এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ও মানোন্নয়ন সাধনে সুবিধা প্রদান করা।

২. আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথোপযুক্ত নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে খাদ্য ও কৃষিজাত দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা।

৩. বিজ্ঞানভিত্তিক এবং প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করার মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টির মান উন্নয়ন করা।

৪. পল্লীর জনসাধারণের অবস্থার উন্নয়ন করা,

৫. খাদ্য, পুষ্টি ও কৃষিবিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ করা।

এ সংস্থার সবচেয়ে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকে ক্ষুধার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা এবং এ লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই এ সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।

উদ্দীপক ২ : মি. এ কে আজাদ ভূঁইয়া গ্রুপের মালিক। তার আজাদ গার্মেন্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। সে প্রতিষ্ঠানে লাইলি বানু নামে এক মহিলা শ্রমিক কাজ করে। একদিন সে লক্ষ্য করে একটি সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের কারখানা পরিদর্শন করে এবং শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। সংস্থাটি বাংলাদেশের কুটির শিল্প বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।

ক. বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কী?১

খ. জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের কার্যক্রম বলতে কী বোঝ?২

গ. লাইলি বানুর কর্মস্থল পরিদর্শন করল জাতিসংঘের কোন সংস্থা? ব্যাখ্যা কর।৩

ঘ. বাংলাদেশের গ্রাম উন্নয়নে এই সংস্থার ভূমিকা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।৪

প্রশ্নোত্তর

উত্তর ক : বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও কৃষি সমস্যা মোকাবিলায় গঠিত জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ সংস্থা হলো বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।

উত্তর খ : জনসংখ্যা কার্যক্রমে কারিগরি সহযোগিতা দানের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক প্রস্তাব উত্থাপনের প্রেক্ষিতে প্রথমে ট্রাস্ট ফান্ড নামে একটি ফান্ড গঠন করা হয়। ১৯৬৯ সালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে ফান্ডটির নাম 'জাতিসংঘ জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল' রাখা হয়। এর সদর দফতর নিউইয়র্কে অবস্থিত। [চলবে]

(গ) উদ্দীপকে লাইলী বানু আজাদ গার্মেন্টসে কাজ করে। একদিন সে লক্ষ্য করে একটি সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের কারখানা পরিদর্শন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। যা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ওখঙ) কে নির্দেশ করে। নিচে এই সংস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো:-

শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণ, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বব্যাপী যে সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে তাকেই আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা বলে।

১৯৪৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯১৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের জনকল্যাণ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তি স্থাপন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে শ্রমিকদের জীবন-মানের উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধনে সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রাখছে। [চলবে]

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.