একই সঙ্গে নির্বাচন সুষ্টুভাবে অনুষ্ঠান এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে আবারো দুই দলের প্রধানকে একত্রে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির নতুন কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে এক সমাবেশে এরশাদ বলেন, “জাপাকে ধ্বংস করার জন্য অনেকেই অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন। মামলার পর মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছেন, পার্টির নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছেন। কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলে গেছে। জাপা জেগে উঠেছে।
এখন আমাদের ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা যদি নির্বাচন করি, তাহলে নির্বাচন হবে, নয়তো হবে না। ”
জাপা চেয়ারম্যান বর্তমান ‘তথাকথিত’ গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“ দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে, আর কয়েকদিন পর ঈদ। কিন্তু দেশবাসীর মনে আজ উৎসবের কোন আনন্দ নেই। কারণ আমরা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি।
“আজ জনগণ কী দেখছে? দুই দলের তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আজ পুরো দেশ জিম্মি। হত্যা, সন্ত্রাস, রাহাজানিতে জনগণ আজ দিশেহারা। তারা মুক্তি চায়, শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়। তারা এই দুই দলকে দেখতে চায় না। ”
“এই দুই দল দেশে কিছুই করতে পারেনি।
আমাকে বলা হয় স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও আমার নামে একটি টাকাও পাওয়া যায়নি। আজ সিঙ্গাপুর, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তারা নিজেরাই বড় বড় স্বৈরাচার। ”
তিনি দাবি করেন, “জাতীয় পার্টির সময় দুর্নীতি ছিল না, আতঙ্ক ছিল না।
উন্নয়ন ছিল, সবার মনে হাসি ছিল। এখন হাসি নেই, সুখ নেই, শান্তি নেই। ”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জিএম কাদের পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।