আর এই কারণেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আশানুরূপ ফল পায়নি বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপিবিহীন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসা জাতীয় পার্টি সরকারে অংশ নেয়ায় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে।
তবে জাতীয় পার্টির নেতারা তা নাকচ করে এলেও এই প্রথম বিষয়টি স্বীকার করে নিলেন ফিরোজ রশীদ।
তিনি মঙ্গলবার সংসদে বলেন, “জনগণ আমাদের সত্যিকারের বিরোধী দল মনে করে না। আমাদের সম্পর্কে পাবলিক পারসেপশন খুবই খারাপ।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচন তার নজির। ”
দশম সংসদের সংসদীয় কমিটিগুলোতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি পদ না দেয়াকে ‘দুঃখজনক’ বলেও মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, “আমাদের দলের কাছে, মানুষের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়। আমাদের (জাপার) সংসদ সদস্যরা সবাই ছোট হয়ে গেছে। মানুষের কাছে মুখ দেখাতে কষ্ট হয়।
”
দশম সংসদের চলমান প্রথম অধিবেশনে তিন দফায় ৫০টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত নবম সংসদে বিরোধী দল থেকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ দেয়া হলেও এবার তা করা হয়নি।
তবে কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টি নেতারা। ফিরোজ রশিদকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “২৫ বছর আগে আমি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছিলাম।
আমার হাত দিয়ে মোবাইল লাইসেন্স হয়েছে। আমাকে কমিটির ৯ নম্বর সদস্য রাখা হয়েছে, এটা না করলে খুশি হতাম। ”
‘অবমূল্যায়িত’ হলেও সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সংসদেও থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফিরোজ রশীদ।
ফিরোজ রশীদ এক রকম বললেও মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে বিপরীত কথা বলেন তারই দলের নেতা পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, “সরকারের থাকলেও বিরোধী হিসেবে বেশি সুযোগ পাচ্ছি।
এ সংসদ কার্যকর সংসদে পরিণত হয়েছে। ”
আনিসুল আরো বলেন, “একাত্তরের পর প্রতিটি বিরোধী দলই অকার্যকর ছিল। তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এরপর যত সংসদ হয়েছে, তাতে কার্যকর কোনো বিরোধী দল ছিল না। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।