আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাশিয়ার মিত্র ইরান এবং সিরিয়া সরকার রাশিয়ায় কুরআন শরীফ নিষিদ্বে নিশ্চুপ কেন? তাহলে কি রাশিয়ার মত তারাও ইসলাম এবং মুসলিমবিদ্বেষী তথা কাফির?

”সব রাজাকারদের বিচার চাই”

ইরান এবং সিরিয়ার নাকি বন্ধু দেশ রাশিয়া। বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা তারা নাকি একে অপরের কাছ খেকে লাভ করে থাকে। বিরোধী কোনও মনোভাবে তারা নাকি পোষন করে না্। দেশ এবং দেশের মানুষের ভালোর ব্যাপারে তারা নাকি একে অপরের মিত্র। কিন্তু আমার কথা হল রাশিয়া যখন ইরান এবং সিরিয়ার ধর্মীয় গ্রন্থ তথা যিনি সিরিয়া এবং ইরানেরও খলিক মালিক রব আল্লাহ পাক উনার একমাত্র সুমহান এবং পবিত্রতম আসমানী কিতাব “আল কুরআন শরীফ” রাশিয়ায় অবমাননা করা হয়, নিষিদ্ব করা হয় তখন সিরিয়া এবং ইরানের সরকার প্রধানেরা বোবা হয়ে থাকে কেন? এখন পর্যন্ত ইরান এবং সিরিয়া সরকার রাশিয়াকে মত পরিবর্তনের জন্য বাধ্য করতে পারলো না কেন? এমনকি এমন একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেল তারপরও কোনও প্রতিবাদ জানাতে পারেনি এই নামধারী দুই সরকার, যারা কিনা নিজেদেরকে মুসলমান মনে করে থাকে।

কিন্তু আসলে তারা কি মুসলমান, না মুসলমান ছূরতে অন্য কোনও জাতির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী তা গভীরভাবে ভাবতে হবে। কাফির রাশিয়া এতো জগন্য কাজ করে ফেললো অথচ সামান্য প্রতিবাদটুকু যারা কিনা করতে পারে না, তারা কখনও মুসলমান হতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই তাহলে প্রশ্ন এসে যায় সিরিয়া এবং ইরানের সরকার প্রধান তারা কারা, যারা মুসলমান দাবি করে থাকে? উল্লেখ্য যে ইরান এবং সিরিয়ার সরকার প্রধানরা আসলেই মুসলমান না। তারা হচ্ছে শিয়া নামক বাতিল ফিরক্বার লোক। ইসলামের দৃষ্টিতে তারা বাতিল এবং কাফির।

এই কাফির শিয়া সম্প্রদায় হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালামগন উনাদের কথিত মুহব্বতের বুলি আওড়িয়ে থাকে এবং সে দোহাইয়ে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগন, হযরত ছাহাবা ই ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুমগন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগন উনাদেরকে দোষারোপ করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ। সম্মানিত ওহী মুবারক নাযিলের ব্যাপারেও কুফরী আক্বিদা পোষন করে থাকে। তারা বলে, হযরত জিব্র্রিল আলাইহিস সালাম নাকি ওহী নাযিল করতে ভূল করেছেন, ওহী নাযিল করার কথা নাকি ছিল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রতি কিন্তু ভূল করে নুরে মুজাসাসম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিল করেছেন। নাউযুবিল্লাহ।

কতো কাট্টা এবং বেয়াদবীমূলক কুফরী আক্বিদা এই কাফির শিয়ারা পোষন করে থাকে, তা ভাবতে গা শিউরে উঠে। এ্কমাত্র সৃষ্টির নিকৃষ্ট মানুষরুপী জানোয়ার ছাড়া এ্ কথা কারও দ্বারা বলা সম্ভব নয়। স্মর্তব্য যে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার সময়কালে তিনি যখন এই উদ্ভট কথা শুনতে পেলেন তখন যেখানে এই কাফির শিয়ারাকে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি দেখতে পেতেন সেখানেই কতল করতেন। ইরানের এই শিয়ারা এতোটাই মুসলিমবিদ্বেষী যে তাদের মতাবালম্বী ছাড়া কোনও সুন্নী মুসলমানকে এখনও ইরানের রাজধানী শহর তেহরানে মসজিদ তৈরি করতে দেয় না। ফলে তারা কাফির রাশিয়ার বন্ধু কিন্তু ইসলাম এবং মুসলমানদের কোনও বন্ধু নয়।

সঙ্গতকারণেই সমস্ত কাফির চুপ তথা তারাও জড়িত। মুসলমানদেরকে মনে রাখতে হবে যে কাফির শিয়াদের ধর্মীয় কিতাব “ আল কুরআন শরীফ” না, বলেই তারা বোবা এবং পরিকল্পিতভাবে সাজানো প্রহসনের উপভোগ্য দর্শক সিরিয়া এবং ইরান। তাই এগুলোর বিরুদ্বে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে মুসলমানদেরকে। কোনও নামধারী মুসলমানদের দিকে তাকিয়ে থাকলে নিজেই নষ্ট হয়ে যাবে, তবু তাদের বোধ ভাঙ্গবে না। কেননা রাশিয়া সরাসরি কাফির কিন্তু ইরান এবং সিরিয়ার সরকার প্রধানরা মুসলমান ছূরতে কাফির।

আর মুসলমান ছূরতে কাফিরেরাই সবচেয়ে ভয়ংকর।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.