অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, কোনো অনির্বাচিত সরকার আর তত্ত্বাবধায়কের নামে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। পাশাপাশি তিনি দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণকে আবার নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গতকাল ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে আসার পথে পৃথক সাতটি পথসভায় জয় বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, প্রতিটি গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হবে- যেখানে বিনামূল্যে আপনারা চিকিৎসাসেবা পাবেন, প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে এবং স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম অবৈতনিক করা হবে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত জোট আবার ক্ষমতায় এলে দেশে জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি ও সন্ত্রাস ফিরে আসবে। আজ বাগেরহাট, খুলনার বিভিন্ন স্থানে পথসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত থাকে, সার্বিক উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই লুটপাট, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস। বিএনপি বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। তারা বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকাকালে যেভাবে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল এখন সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। এখন হুজি, জামায়াত, শিবির ও জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত আর রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমার বিশ্বাস জনগণের ভোট নিয়ে আগামীতে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে। আমাদের দল আগামীতে ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবই করব। দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রতিটি গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র করা হবে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য আগামীতে নৌকায় ভোট দিতে হবে। আগামীতে ভোট দেবেন কিনা আগত জনতার কাছে জানতে চান জয়। এ সময় দুই হাত তুলে হাজার হাজার মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন।
জয়ের সঙ্গে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক দৌহিত্র রেদোওয়ান সিদ্দিক ববি, শেখ হেলাল এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা মৃণালকান্তি দাস, এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোহবান গোলাপ, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউছার, পঙ্কজ দেবনাথ, দেলোয়ার হোসেন, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার রোটন, গোলাম সরোয়ার কবির, ছাত্রলীগের এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, শেখ রাসেল প্রমুখ।
সকাল সাড়ে ৯টায় সফর সঙ্গীদের নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে গণভবন ত্যাগ করেন জয়। সন্ধ্যায় তিনি সফরসঙ্গী ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে ফাতেহা পাঠ করেন। ঢাকা-মাওয়া মহাড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ফুল ছিটিয়ে জয়কে শুভেচ্ছা জানান। বিশেষ করে গোপালগঞ্জ সেজেছিল বর্ণিল সাজে।
বিভিন্ন স্লোগান, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ নির্মাণ করা হয়। সজীব জয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম, জয় তুমি এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের আগমনে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলার সংসদ সদস্য এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যাপক শোডাউন করেন। পৃথক দুটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এমপি প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।