বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অঙ্গিকারের’ প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতেই তার সরকারের এই অবস্থান।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে আন্দোলন করে আসা বিরোধী দলের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, “... অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া বা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করে এমন কোনো দাবি পূরণের কোনো সুযোগ নেই। ”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন দেয়ায় ‘কথিত সুশীল সমাজের’ সমালোচনাও করেন দীপু মনি।
তিনি বলেন, এই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে কিছু ‘ব্যর্থ ও উচ্চাভিলাষী’ রাজনীতিক ও বিভিন্ন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের সাবেক উপদেষ্টা আছেন, যারা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা পেতে চান এবং আছেন কিছু ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’, যারা নির্বাচিত না হয়েই ক্ষমতার চর্চা করতে চান।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
দীপু মনি বলেন, অনির্বাচিত তত্ত্বাধায়ক সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে আসা `অনির্বাচিত উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ‘সংরক্ষণে’ তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“সংবিধান অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার কাজ নির্বাচন কমিশনের। ”
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। তাদের নিজস্ব বাজেট আছে, নিজেদের সচিবালয় আছে।
“তাছাড়া একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন, সরকার নয়।
”
কার্নেগির প্রেসিডেন্ট জেসিকা ম্যাথিউ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং কূটনীতিকরা তার বক্তব্যের সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।