আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগে সহিংস অন্তঃকোন্দ

দশম জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে আসে গত ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই দিন রাতেই নগর কমিটির পদবঞ্চিতদের রোষানলে পড়েন তারা। প্রায় ২০০ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে হোটেলে ভাঙচুর চালায়।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক শেষে সার্কিট হাউসের ভেতরেই সংঘর্ষ ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি পক্ষ। সার্কিট হাউসের ভেতরেই এক ছাত্রলীগের নেতাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা কুপিয়ে জখম করে। পরে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আহত তিনজন এখনো হাসপাতালে।

এভাবে ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠেছে। নগরকেন্দ্রিক এ ধরনের ঘটনা ছাড়াও কলেজ, ওয়ার্ড ও থানা শাখায়ও চলছে নানা সহিংসতা। প্রসঙ্গত, ৩০ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জনের নাম ঘোষণা করে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরপরই নগর ছাত্রলীগের একটি অংশ কমিটির বিরোধিতায় নামে। এ নিয়ে পদবঞ্চিতরা কর্মসূচিও পালন করে।

পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, ঘোষিত কমিটি এখন পর্যন্ত দলীয় ও জাতীয় কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। অথচ এরই মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসসহ নানা কর্মসূচি ছিল। পদবঞ্চিতদের সমন্বয়কারী ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা যখন সার্কিট হাউস থেকে বের হই তখন কে বা কারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এখন পর্যন্ত তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে একটি কমিটি 'নাজিল' করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করে আসছি। আমরা নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করে আসছি, সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। তবে নগর কমিটি বলছে, ১০১ সদস্যের মধ্যে মাত্র ২৪ জনের নাম ঘোষণা করা হলে আরও ৭৭টি পদ খালি। গঠনতন্ত্র মতে বয়স, যোগ্যতা, ত্যাগ ও মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে সবার সম্মতিতে এসব পদ পূরণ করা হবে। তাই এখানে কেউ কাউকে পদবঞ্চিত বা বিদ্রোহী ভাবার সুযোগ নেই। তা ছাড়া কেন্দ্র তার নির্বাহী ক্ষমতাবলে কমিটিকে প্রয়োজনে ১২১ সদস্যেরও করতে পারে।

নগর কমিটির সহসভাপতি নাজমুল হাসান রুমি বলেন, ১০ বছর পর নগর কমিটি ঘোষণা হয়। কিন্তু গঠনতন্ত্রের নিয়মে অনেক যোগ্য, মেধাবী ও ত্যাগী নেতাকে কমিটিতে যুক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ থাকতে পারে। এ অংশকে বিদ্রোহী বা বঞ্চিত বলা হচ্ছে। আমি এটা মানতে রাজি নয়। বরং আমরা এ অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সংগঠন পরিচালনায় সহযোগিতা চাইব। কর্মসূচি পালন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নগর আওয়ামী লীগ সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের কোনো কর্মসূচি আয়োজন করতে নিষেধ করেছে। তাই আমরা মুরবি্ব সংগঠনের সঙ্গে মিলে কাজ করছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.