রোজকার কাজের চাপ, টেনশন আর নানা সমস্যার মাঝে জীবনের রং কখনো কখনো ফিকে হতে শুরু করে। একঘেয়েমির ক্লান্তি ভর করে মনে। আনন্দ, হাসি দূরে সরে যেতে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৌশলী হতে পারলে বিষণ্নতা উড়ে যাবে। যেমন:
প্রাণ খুলে হাসুন
বেশি বেশি হাসুন।
এটি মন ভালো রাখার প্রাকৃতিক একটি উপায়। শরীরও ভালো থাকবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ সকালে উঠে ৫ মিনিট হাসেন তারা সারাদিন বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকেন।
মনকে ছেড়ে দিন
মাঝে মাঝে নিজেকে স্বাধীনতা দিন। যা মন চায় করুন।
প্রাত্যহিকতা থেকে ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন, আড্ডা দিন, পছন্দমত শপিং করুন।
বর্তমানকে প্রাধান্য দিন
অতীতের যে স্মৃতি আপনাকে কষ্ট দেয় তা নিয়ে ভাববেন না। বর্তমানে বাঁচুন। বর্তমানের আনন্দ-হাসিতে মুখরতায় নিজেকে সামিল করুন।
জীবন নিয়ে টেনশন নয়
কাল কি হবে তা নিয়ে না ভেবে আজকের সময়টাকে উপভোগ করুন এবং নিজের কাজগুলো ঠিকভাবে করতে থাকুন।
আগামীর পরিকল্পনা করুন।
বন্ধু নির্বাচনে বিচার-বুদ্ধি খাটান
বন্ধু তারাই, যারা আপনার সমস্যায় পাশে থাকবে, সান্ত্বনা দেবে। তাই বন্ধু নির্বাচনে হৃদয়ের পাশাপাশি বোধ-বুদ্ধি খাটান।
আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
জীবনে চলার পথে কখনো কখনো বিষণ্ণ হতে পারেন, রাগ হতে পারে বা আক্রান্ত হতে পারেন হতাশায়। কিন্তু কোন কিছুই দীর্ঘস্থায়ী নয়।
চেষ্টা করুন আবেগ নিয়ন্তণের।
ইতিবাচক চিন্তা করুন
রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবুন সারাদিনে কি কি হলো। যা যা মন খারাপ করে দেয় সেগুলোর বদলে ভাবুন কি কি বিষয়ে আপনি আনন্দ পেয়েছেন। দেখবেন খারাপ লাগার চেয়ে ভালো লাগার পাল্লাটাই ভারী হয়ে আপনার মুখে ফুটে উঠেছে এক চিলতে হাসি।
ক্ষমা করে দিন
ক্ষমা একটি মহৎ গুণ।
চেষ্টা করুন ক্ষমা করার আর সেই সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
নিজেকে বিশ্রাম দিন
কাজের চাপ, পরিবারের জন্যে সময় সব বাদেও নিজের জন্যে খানিকটা সময় বের করুন। এ সময়টুকু কেবলই নিজের জন্যে। বিশ্রাম দিন নিজেকে। এতে আপনি নতুন উদ্যামে কাজ করতে পারবেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।