দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নিজ এলাকায় চ্যালেঞ্জের মুখে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দলের বড় পদধারী এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতা ক্ষমতার পাঁচ বছর ছিলেন জনবিচ্ছিন্ন। আসতেন না এলাকায়। যোগাযোগ করতেন না স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। দলের অভ্যন্তরে বিতর্কিত এসব মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। নিজ দল থেকেই তাদের বিরুদ্ধে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং জমাও দিয়েছেন একাধিক নেতা। এখন তারা রীতিমতো নির্বাচনী এলাকার গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী শোডাউন দিচ্ছেন। তৃণমূলের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন নতুন নেতারা। দলীয় সূত্রমতে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আমলনামা খোদ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছেই পরিষ্কার। ক্ষমতার পাঁচ বছরে দলের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারানো এসব মন্ত্রী নিজেদের পছন্দের সিন্ডিকেটের বাইরে দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজখবর রাখেননি। আসন্ন নির্বাচনে উলি্লখিত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারে এখন মাঠ চষে বেড়ালেও ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের মন গলছে না, বরং একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় সমর্থকদের কাছে টানছেন। গাড়ি থেকে পতাকা নামার পরপরই অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এখন নিয়মিত এলাকায় যেতে পারছেন না। নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়ছেন বলেও জানা গেছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী তার শেরপুর-২ আসনে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। তার আসনে অন্য কেউ দলীয় মনোনয়নপত্র না কিনলেও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নেতা নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদশা এলাকায় জনসভা করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এবার বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী বলে জানা গেছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ। তিনি গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৫৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এবার তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে এলাকায় ব্যাপকভাবে গণসংযোগ করছে।
চাঁদপুর থেকে এবার সরকারের দুজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে জেলা আওয়ামী লীগও দুই ধারা থেকে ত্রিধারায় বিভক্ত। এ দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীই সর্বদলীয় সরকারে স্থান পাননি। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পিএস শাহ আলমকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যেতে পারেন না স্থানীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে। তিনি বিগত নির্বাচনে চাঁদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এবার তার বিপরীতে দলের মনোনয়নপত্র তুলেছেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজাদ, ছাত্রনেতা মহিবুল্লা মাহি। এ দুজন এলাকায় এখন নিয়মিত গণসংযোগ করে চলেছেন। ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসন থেকে গত নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এ আসনে তার বিপরীতে দলের মনোনয়নপত্র তুলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, দলের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন মারুফ। সুজিত রায় নন্দীর পক্ষে বিগত জাতীয় নির্বাচনেও তৃণমূলের অবস্থান ছিল এক নম্বরে। এবারও তার অবস্থান সুসংহত।
দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা শামসুল হক চৌধুরী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছাড়াও এবার দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারসহ আরও চারজন। সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বরাবরই ছিলেন এলাকায় বিতর্কিত। নিজ এলাকায় যেতে হতো পুলিশ পাহারায়। এবারও এলাকায় তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে এবার দলের মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা গাজী লুৎফর রহমান, কর্নেল (অব.) জমায়েত আলী, আসাদুর রহমান।
শ্রমমন্ত্রী ছিলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তিনি নরসিংদী-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় এক বছর এলাকায় যাননি এ প্রভাবশালী মন্ত্রী। মন্ত্রীর ভাই ছিলেন মেয়র লোকমান হত্যার প্রধান আসামি। দলের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের লোক নিয়ে বলয় গড়ে তোলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় তিনি এখন এলাকায় চ্যালেঞ্জের মুখে। এবার তার বিরুদ্ধে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী একডজন। তবে অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেই ছয়জনকে দিয়ে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করিয়েছেন। এর মধ্যে আপন ছোট ভাই সালাউদ্দিন বাচ্চু ও পিএস মুরাদও রয়েছেন। যারা দুজনই লোকমান হত্যার আসামি। অন্যরা হলেন_ সহধর্মিণী কল্পনা রাজিউদ্দিন, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল সাদেক, হাজি আবদুস সাত্তার। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন যারা তারা হলেন_ সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, এস এম মোজাম্মেল হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন।
সরকারের প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন আবদুল লতিফ বিশ্বাস। তিনি সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে বিজয়ী। এ আসনে এবার দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও দুরন্ত রাজশাহী ক্রিকেট টিমের পরিচালক মুশফিকুর রহমান মোহন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল মজিদ মণ্ডল। মুশফিকুর রহমান মোহন ও আবদুল মজিদ মণ্ডল এখন নির্বাচনী এলাকায় রীতিমতো গণসংযোগ করে চলেছেন। লে. ক. (অব.) ফারুক খানের গোপালগঞ্জ-১ আসনে তিনি ছাড়াও মনোনয়ন চান আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল বোস, যুবনেতা শেখ আতিয়ার রহমান দীপু, ওই আসনের সাবেক এমপি কাজী আবদুর রশিদের ছেলে হারুনার রশিদ ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর হিলটু। টাঙ্গাইল-১ আসনে সদ্য বিদায়ী খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের আসনে জোরালো মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম হিরণ। শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ রেখে নিজ বলয় গড়ে তুলেছিলেন। এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে তিনি ঝুঁকিতে রয়েছেন। এবার তার বিরুদ্ধে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি গাজী মতিউর রহমান, মেয়র গোলাম রাব্বানী। সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আহাদ আলী সরকার। জেলা আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করে রাখা, নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকায় তিনি এখন নিজ এলাকায় চ্যালেঞ্জের মুখে। তিনি নাটোর-২ আসন থেকে নির্বাচিত ছিলেন। এ আসন থেকে এবার দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মন্টু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রতনা আহমেদ, চিত্তরঞ্জন সাহা, নজরুল ইসলাম ডন, আনোয়ার হোসেন আনু। দীর্ঘদিন ধরে নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত রাখায় তিনি এখন নির্বাচনী এলাকায় চ্যালেঞ্জের মুখে। সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগে কোন্দল সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তাকে এলাকায় যেতে হয়েছে পুলিশ পাহারায়। এবার দলের মনোনয়ন না পেলেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এ আসনে এবার দলের মনোনয়ন পেতে পারেন কানসাটের নেতা গোলাম রাব্বানী। তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন তুলেছেন। এ ছাড়া এ আসন থেকে মনোনয়ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন। পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি সদ্য বিদায়ী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া। এ আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার, পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ মৃধা, মহিলা নেত্রী কানিজ সুলতানা হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মোশাররফ হোসেন, ডা. সফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আলী আশরাফ। হবিগঞ্জ-৪ আসনে সদ্য বিদায়ী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ছাড়া দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাতজন। তারা হচ্ছেন_ মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান কাদির লস্কর, মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মো. মুসলিম, আওয়ামী লীগ নেতা হবিগঞ্জ পৌরসভার পাঁচবারের সাবেক মেয়র শহিদউদ্দিন চৌধুরী, আবদুল হাই রাজীব, সাইদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট মাহাবুব আলী। দিনাজপুর-৫ আসনে সদ্য বিদায়ী ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের বিরুদ্ধে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সায়েদুল ইসলাম শান্ত। গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানের বিপরীতে এবার দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, আবদুল বাতেন মিয়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্মল রঞ্জনগুহ, দোহার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনারকলি পুতুল, ঢাকা জেলা কৃষক লীগ দক্ষিণের মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, নূরে আলম উজ্জ্বল।
মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। এ আসনে সৈয়দ আবুল হোসেন বাদেও দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন বাহাউদ্দিন নাছিম ও আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। সদ্য বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে আরও দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন কর্নেল (অব.) জামায়াত আলী, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মুত্তাকিম, ওই আসনের সাবেক এমপি ডা. মুকলেসুর রহমান, অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ও সাবেক ছাত্রনেতা আফসর আলী। সদ্য বিদায়ী ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার জামালপুর-৫ আসনে এবার আরও দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাকীবিল্লাহ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজন। সদ্য বিদায়ী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ আহমেদ বাবু। যোগাযোগমন্ত্রী ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ যশোর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনিও এখন নির্বাচনী এলাকায় চ্যালেঞ্জে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এবার ওই আসন থেকে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম, জেলা যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঝিকরগাছা যুবলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুননাহার নাজনীন, চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামান, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আহসানুল হক আহসান, যুবলীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন। আফসারুল আমিন চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এবার তিনি এলাকায় চরম চ্যালেঞ্জের মুখে। তার আসনে তিনি ছাড়াও যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন_ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু ও এম হান্নানের ছেলে সাফিউদ্দিন খালেদ বাহার। লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি সদ্য বিদায়ী গণশিক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে দলীয় মনোনয়ন চান উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন ও সরোয়ার খান। ময়মনসিংহ-৩ আসনের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে এবার দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৪ জন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন, নাজিম আহমেদ, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, গৌরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ খান পাঠান সিলভী, গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, এ কে এম আবদুর রফিক, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি সহ-সম্পাদক মোর্শেদুজ্জামান সেলিম, শরিফ হাসান অনু, মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, ডা. হেলাল উদ্দিন আহমদ, নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক, গোলাম মোস্তফা ওরফে ভিপি বাবু। গাজীপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দলে ও এলাকায় ক্লিন ইমেজ থাকলেও তার বিরুদ্ধে এবার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ৯ জন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আকতারুজ্জামান, সাবেক এমপি ডা. আসফার হোসেন মোল্লা, এস এম নজরুল ইসলাম, সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত, কে বি এম মফিজুর রহমান, এ বি এম আমজাদ হোসেন, হুমায়ুন কবির মাস্টার, তোবারক হোসেন তারু, আবদুল আজিজ মাঝি।
স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢকা-১৩ আসন থেকে নির্&
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।