আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহিংসতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজে বিõ

হরতাল, সংঘর্ষ, অবরোধসহ নানা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ বন্ধ থাকছে। এ সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-মজুরিসহ ভাড়ায় আনা গাড়ি ও যন্ত্রপাতি বাবদ কর্তৃপক্ষের কাছে দৈনিক অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ঠিকাদাররা। তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ দাবি যৌক্তিক হলে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। জানা যায়, বিরোধী দল ২৫ অক্টোবর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ দিন হরতাল পালিত হয়। এ ছাড়া ২৪ নভেম্বর জামায়াতের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে ও গতকাল চট্টগ্রামে বিএনপি হরতাল ডাকে। এর ১৫ দিন আগে থেকেই শুরু হয় সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে জামায়াত-শিবিরের লাগাতার তাণ্ডব। এ সময় যানবাহনে অগি্নসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, সড়ক অবরোধসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকে। জানা যায়, চার লেন প্রকল্পের চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাইয়ের ধুমঘাট পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটারের কাজের জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশন, তাহের এ ব্রাদার্স ও চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, হরতালের সময় সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে প্রকল্পের উন্নয়নকাজ।

কিন্তু এ সময় ঠিকাদারের জনবল, প্রকল্পকাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন উপকরণ, যানবাহন ও চালকসহ সবাই অলস বসে থাকেন। ওই সময় সড়কে থাকা অনেক লাকড়িও জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ কারণে ঠিকাদাররা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী স্বপনকুমার নাথ বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী কোনো কারণে কাজ বন্ধ থাকলে এ সময়ের জন্য প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় যেমন বাড়বে, তেমনি মেয়াদকালও পিছিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.