আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগাররা

যখনই দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে, কিংবা খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা, তখনই পাশে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম। দুই হাত উজাড় করে দিয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। ফেরায়নি কখনো খালি হাতে। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মিরপুরে যখন ক্যারিবীয়দের কাছে অসহায় আত্দসমর্পণ করেছিলেন মুশফিকরা, তখন এই চট্টগ্রামই রসদ জুগিয়েছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। এখানেই 'ক্রিকেটের জনক' ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকে।

তাই চট্টগ্রাম 'পয়মন্ত ভেন্যু'। ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে এই বিশ্বাস ক্রিকেটারদেরও। বিশ্বাস করেন বলেই টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কাল আত্দবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, এই চট্টগ্রামেই ঘুরে দাঁড়াতে চান। তাই সঙ্গী করেছেন সোনালি ফ্রেমে বাঁধানো বেশকিছু স্মৃতিকে।

মিরপুরে দেড় সেশন আগেই ইনিংস ও ২৪৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা।

সেই লজ্জায় এখনো সিক্ত মুশফিকরা। তবে চট্টগ্রাম পয়মন্ত বলে, আত্দবিশ্বাসী হতেই পারেন। এখানে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ যে টেস্টটি খেলেছিলেন মুশফিকরা, সেখানে চালকের আসনে বসে থেকেই ড্র করেছিল ম্যাচ। ব্ল্যাক ক্যাপসদের ৪৬৯ রানের জবাবে টাইগাররা করেছিল ৫০১ রান। সেই ইনিংসে ছিল তরুণ মুমিনুল হকের ১৮১ রানের নান্দনিক এক স্কোর।

যা উজ্জীবিত করছে 'লোকাল বয়' তামিম ইকবাল, অধিনায়ক মুশফিক, সাকিবদের। শুধু মুমিনুল নয়, নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সোহাগ গাজী। এ ছাড়া এ মাঠের সেরা বোলিং স্পেল সাকিবের। ২০০৮ সালে এখানে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে ৩৬ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এসব টুকরা টুকরা পারফরম্যান্স উজ্জীবিত করছে টাইগারদের।

এই উদ্দীপনাকে সঙ্গী করেই টাইগার অধিনায়ক ঝেরে ফেলতে চাইছেন মিরপুরের লজ্জাকে, 'আমাদের সবসময় দুই হাত উজাড় করে দিয়েছে চট্টগ্রাম। এখানে সোহাগ, সাকিবের রয়েছে অসাধারণ রেকর্ড। আমরা এই রেকর্ডগুলোর আত্দবিশ্বাসকে সঙ্গী করে ভালো খেলতে চাই। '

মিরপুরে সাড়ে তিন দিনে হারলেও সেটাকে অ্যাক্সসিডেন্ট ভাবতে চান টাইগার অধিনায়ক। ভুলে যেতে চান সেটাকে।

যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড খুব একটা ভালো নয় টাইগারদের। এর আগে যে ১৫টি টেস্ট খেলেছে, তার ১৪টিতেই হেরেছে। একটি ড্র, তাও গলে গত বছর। সেখানে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেন।

আজ আশরাফুল থাকবেন না, কিন্তু খেলছেন নাসির ও মুশফিক। এর মধ্যে মুশফিক আবার দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানও।

চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াতে একাদশকে ঢেলে সাজাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরপুর একাদশের দুটি পরিবর্তন হতে পারে চট্টগ্রামে। মার্শাল আইয়ুবের জায়গায় ফিরতে পারেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস।

ইমরুল সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১১ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ব্যাটিং লাইন শক্তিশালী করতে ফিরিয়ে আনা হতে পারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। অবশ্য বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকবে রিয়াদের অফ স্পিন। তবে বাঁ হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজকে একাদশে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। রিয়াদ বা রাজ্জাক যেই একাদশে খেলুন না কেন, সাজঘরে বসে থাকতে হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ সেরা রবিউল ইসলাম শিবলুকে।

শিবলুকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে কব্জির চোটের জন্য। স্বাগতিকদের একাদশে যেমন পরিবর্তন আসছে, তেমনি পরিবর্তন থাকছে সফরকারীদের একাদশেও। মিরপুরের দুই সফল বোলার শামিন্দা এরাঙ্গা ও বাঁ হাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে দেখা যাবে না। দুজনই খেলবেন না ইনজুরির জন্য। এরাঙ্গার ইনজুরি ঊরুতে এবং হেরাথের হাঁটুতে।

বছরের প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারের তিক্ত স্বাদকে পেছনে ফেলতে মরিয়া মুশফিকরা। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছেন এই চট্টলাতেই। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.