ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ইইউপন্থী হাজার হাজার মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। গতকালই প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের জন্য পার্লামেন্টে বিরোধীরা একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। তবে তা টেকেনি।
অনাস্থা ভোটে বিরোধীদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকলেও সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে এ পদক্ষেপ নেয় তারা। অনাস্থা প্রস্তাব আনতে এবং তা পাস করাতে বিরোধীদের ২২৬ ভোট প্রয়োজন ছিল।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ইউক্রেন একটি সহযোগিতা চুক্তি সই করতে অপারগতা প্রকাশের পর ইইউপন্থীরা এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
রাশিয়া চায়, ইউক্রেন মস্কোভিত্তিক কাস্টম ইউনিয়নের সঙ্গে থাকবে এবং ইইউর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলবে।
সরকারবিরোধীরা ইইউর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির পক্ষে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাই রোববার অন্তত সাড়ে তিন লাখ বিক্ষোভকারী কিয়েভে স্বাধীনতা চত্বরে সমাবেশ করে। পুলিশ তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
তবে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। স্বাধীনতা চত্বরে তাঁবু করে অবস্থান করছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভের মধ্যেই গতকাল প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ চীন সফরে গেছেন। দেশের ঋণ-সংকট মোকাবিলায় চীনের কাছে আরও ঋণ-সহায়তা চাইবেন তিনি। রোববার বিরোধীদের ঐতিহাসিক সমাবেশের পর প্রেসিডেন্ট ভিক্টর গতকাল ইঙ্গিত দেন, বিরোধীদের আন্দোলন সত্ত্বেও তিনি পদত্যাগ করছেন না।
প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগে বাধ্য করতে গতকাল পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইইউ ও ইউক্রেনের পতাকা হাতে সমবেত হয়। বিক্ষোভকারীরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। এ সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন ছিল।
প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজারোভ অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধীরা পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে। গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা সরকারের প্রধান কম্পাউন্ডের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কাজকর্ম করা যায়নি। এএফপি ও বিবিসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।