আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ নিয়ে শুনানিতে হö

তুমুল হৈচৈ এবং মারমুখী পরিস্থিতির মধ্যে বেলজিয়ামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কনফারেন্স রুমে (৬ কিউ ২) ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি অবসানে প্রধান দুই জোটের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ এবং পারস্পরিক সমঝোতায় সবার অংশগ্রহণে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার কথা ব্যক্ত করা হয়। অন্যথায় বাংলাদেশ আবারও জঙ্গিবাদের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। শুনানির পর মিলনায়তনের বাইরে বিএনপির এক দল কর্মী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম এবং সাবেক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ প্রসঙ্গে ওই শুনানিতে অংশ নেওয়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এম এ মালেক বেলজিয়াম থেকে টেলিফোনে বলেন, 'এইচ টি ইমাম এবং মতিন খসরুসহ আওয়ামী লীগের সবাই মিথ্যাচার করেন ওই শুনানিতে। বিএনপিকে অযথা অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেছেন তারা। এ জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর ক্ষেপেছিলেন। এইচ টি ইমামকে তারা লাঞ্ছিত করেন। তবে নিরাপত্তা রক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন।' খবর এনার।

ইউরোপিয়ান পিপুলস পার্টির (ইপিপি) ব্যানারে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মানবাধিকারবিষয়ক সাব-কমিটির প্রভাবশালী সদস্য লাইমা অ্যান্ড্রিকজিনা এ শুনানির আয়োজন করেন 'বাংলাদেশ : অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের পথে' শিরোনামে। দুই পর্বে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ শুনানিতে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক দুই উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং ড. মসিউর রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মোহিদুর রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা এম এ মালেক। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইপিপির ভাইস চেয়ারম্যান মেইরিড ম্যাকগিনিস এমপি এবং লিথুয়ানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি টমাস সিকরসকিস। প্রথম পর্বের বিষয় ছিল 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি : এখন কী করা দরকার? নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে পারবে?'

এ পর্বে হোস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন এইচ টি ইমাম, বাংলাদেশ ইনফরমেশন কমিশনের কমিশনার ড. সাদেকা হালিম এবং বিএনপির ড. আসাদুজ্জামান রিপন। সঞ্চালনায় ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অর্থনীতি সম্পর্কিত কমিটির ভাইস-চেয়ার পাবলো জালবা বিজেগেইন। দ্বিতীয় পর্বের বিষয় ছিল 'বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ কীভাবে সুগম করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।' এটি সঞ্চালনা করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক সাব-কমিটির সদস্য লাইমা লিউসিজা অ্যান্ড্রিকজিনা এমপি। মতামত ব্যক্ত করেন চলতি বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক টিমের প্রধান মাইকেল গ্যাহলার, ইউরোপিয়ান এঙ্নারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন অবজার্ভেশন ডিভিশনের কর্মকর্তা ব্যালথাসার বেঞ্জ, দক্ষিণ এশিয়া গণতান্ত্রিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাউলো ক্যাসাকা এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান। বাংলাদেশের ওপর এ দুটি আলোচনার সমন্বয় করেন লাইমা অ্যান্ড্রিকজিনা এমপি। এ ছাড়া আরও সাতজন এমপি ফ্লোরে ছিলেন। আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক বেশি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রবাসী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.