নিখোঁজের ৯ দিন পর গতকাল মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী কাজী ওবায়দুল ইসলাম শিপনের (৪৫) লাশ সিলেটের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে আইনজীবীর স্বজনরা সিলেটে পেঁৗছে লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। রাতেই জেলা পুলিশ লাইন সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফনের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভগি্নপতি অ্যাডভোকেট হান্নান জুয়েল। সিলেট কোতোয়ালি থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ১ মার্চ রাতে কে বা কারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিখোঁজ আইনজীবীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ৬ দিন পর সিলেট মেয়রের অনুমতি সাপেক্ষে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয়।
রবিবার তার সম্মানে মুন্সীগঞ্জ আদালতের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখে জেলা আইনজীবী সমিতি।
নিখোঁজ এ আইনজীবীর ছেলে সামি (১), মেয়ে রাত্রী (১৬) এবং স্ত্রী সোনিয়া আক্তার রেনু (৩৫) কান্নায় ভেঙে পড়ে বারবার মূর্ছা যেতে থাকেন। এদিকে মঙ্গলবার এক ব্যক্তি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ফোন করে নিখোঁজ আইনজীবী শিপনকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন বলে জানালে তাকে বিকাশের মাধ্যমে দুই দফায় ১২ হাজার টাকা পাঠানো হয়। টাকা পাঠানোর কিছু সময় পর থেকেই ওই মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারটি বুঝতে পারেন তারা প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।