ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মুখে অবশেষে শোনা গেল দ্রোহের কথা। গত শনিবার কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা দুই শীর্ষ নেত্রীর কাছে ব্যবসা ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দাবি করেছেন। নতুবা তাদের পদত্যাগ চেয়েছেন। সাফ সাফ বলে দিয়েছেন, দুই শীর্ষ নেত্রী আলোচনায় বসে নির্বাচন-সংক্রান্ত মতপার্থক্য নিরসন না করলে তারা তাদের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেবেন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য অর্থনীতি ধ্বংসকারী রাজনীতি আর তারা দেখতে চান না। রাজনীতি করে রাজনীতিকরা লাভবান হবে আর ঘৃণ্য রাজনীতির বলি হয়ে দেশের মানুষ দগ্ধ হবে, মারা যাবে, শিল্প কারখানা পুড়ে ছারখার হবে, অর্থনীতি ধ্বংস হবে এ ধরনের অপতৎপরতা আর ব্যবসায়ীরা সহ্য করবেন না। প্রয়োজনে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। ব্যবসার সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো সম্পর্কই থাকার কথা নয়। শিল্প কারখানায় যাদের পদচারণা তারা রাজপথে নামতেও চান না। কিন্তু অসুস্থ রাজনীতিই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। বিরোধী দলকে নির্বাচনে রাজি করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা এবং বিরোধী দলের একের পর এক সাংঘর্ষিক কর্মসূচি দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি। জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনৈতিক কাণ্ডজ্ঞানহীনতা দেশের অর্থনীতিকে কার্যত অচল করে দিয়েছে। হরতাল অবরোধের কারণে স্তব্ধ হয়ে গেছে রপ্তানি বাণিজ্য। অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, এ অবস্থা চলতে থাকলে শিল্পোদ্যোক্তাদের পক্ষে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়ায় প্রকারান্তরে জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য দুঃখ-কষ্টের কারণ ঘটাচ্ছে। সাংঘর্ষিক কর্মসূচির বলি হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সমঝোতার পথে যেতেই হবে। দুই নেত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা দেশকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেবেন, না আলোকিত পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।