আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৈরাজ্য চললে ফল আসবে না সংলাপে: আ. লীগ

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে স্বীকার করে ক্ষমতাসীন দল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, “আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, হরতাল, অবরোধসহ সব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করলেই নির্বাচনকালীন সরকারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
“আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল, অবরোধ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, বাস পুড়ে মানুষ হত্যা, বোমাবাজি, জানমালের নিরাপত্তাহীনতা, হত্যা, নাশকতা বন্ধ করে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়।”
বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হলে সেক্ষেত্রেও তাদের নৈরাজ্য বন্ধ করতে বলে আওয়ামী লীগ।
“হত্যা হরতাল, অবরোধ, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, রেললাইন উপড়ে ফেলাসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, বাস পুড়ে মানুষ হত্যা, বোমাবাজি ও জানমালের নিরাপত্তাহীনতাসহ সকল প্রকার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করলেই আটককৃতদের মুক্তি এবং আলোচনার অর্থবহ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।”
“এই ধরনের নৈরাজ্য বন্ধ না করলে আলোচনা কখনোই অর্থবহ হবে না,” বলা হয় বিবৃতিতে।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, গওহর রিজভী।
ঢাকায় জাতিসংঘ মিশনের আবাসিক সমন্বয়ক নিল ওয়াকারের বাড়িতে এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,  খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান ও শমসের মবিন চৌধুরী।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট এড়িয়ে দুই দলকে সমঝোতায় রাজি করার লক্ষ্য নিয়ে আসা জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব সফরের প্রথম দিন থেকে দফায় দফায় বৈঠকের পর চতুর্থ দিনে প্রথমবারের মতো দুই দলের নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে বসেন।   

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।