ছয় বছর পর আবারও প্রধান নির্বাচক হলেন ফারুক আহমেদ। ২০০৭ সালে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন আরেক সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের হাতে। ছয় বছর পর আবার সেই আকরামেরই ছেড়ে দেওয়া দায়িত্ব নিলেন ফারুক। এর আগে ২০০৩-২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচক ছিলেন সাবেক অধিনায়ক। দায়িত্ব বুঝে পাননি, কিন্তু এর মধ্যে টার্গেট সেট করে ফেলেছেন।
দুই বছরের মেয়াদে টার্গেট করেছেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে। যা অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে।
সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্তম্ভ। এই তিন ক্রিকেটার জাতীয় দলে নাম লিখেছেন ফারুকের হাত ধরে। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনে এই তিন ক্রিকেটারের অবদান অনস্বীকার্য।
আসলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবস্থানে আসার পাইপ লাইনটাই ঠিক করে দিয়েছিলেন ফারুক নিজে। সেই অভিজ্ঞতাকে এবার কাজে লাগাতে চান ফারুক, 'আমি আমার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। এছাড়া যে দুজন নির্বাচক আছেন, তারা অনেক অভিজ্ঞ। তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনো সমস্যা হবে না। তাদেরকে নিয়েই আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
' মুশফিকরা গত দুই বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। সেটা খুব ভালো করেই জানেন ফারুক। আর জানেন বলেই কাজটা অনেক বেশি সহজ হবে বলে মানেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন একটা পর্যায়ে উঠে এসেছে। ক্রিকেটাররা জানেন তাদের কাজ কি। সুতরাং আমি মনে করি তাদের নিয়ে আমার কাজ করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
' প্রধান নির্বাচক হলেও গত ছয় বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তার মনে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং লাইন এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগে শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিং নিয়েও কাজ করতে হবে।
দুই বছরের দায়িত্ব। কিন্তু শুরুতেই কঠিন লড়াই। আগামী জানুয়ারিতে খেলতে আসছে শ্রীলঙ্কা।
এরপর এশিয়া কাপ ও মার্চ-এপ্রিলে টি-২০ বিশ্বকাপ। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ মূল টার্গেট। তকে আসন্ন সিরিজ ও টুর্নামেন্টগুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছেন তিনি, 'আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে হয়তো খুব বেশি কাজ করা যাবে না। তবে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে হবে। দুটো টুর্নামেন্টই ঘরের মাটিতে।
সেখানে ভালো খেলাই আমাদের টার্গেট। ' ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য বরাবরই কঠিন কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেটা মাথায় রেখেই সতীর্থদের নিয়ে পরিকল্পনা করবেন ফারুক, 'বিশ্বকাপ সব সময় সব দলের জন্য আলাদা আবেদনের। বিশ্বকাপে ভালো খেললে দলগুলোর ফোকাসড হয় অনেক।
আমাদের ভালো খেলতে হবে। এরজন্য আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। কেননা উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন খুবই কঠিন। সেখানে সফল হতে হলে পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলতে হবে। ভালো খেলাটাই আমাদের টার্গেট।
'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।