সারের অভাবে হাহাকার করছে বরেন্দ্রাঞ্চলের কৃষি। মৌসুমের শুরুতেই টানা হরতাল-অবরোধের কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে সার সরবরাহ। অন্যদিকে দাম গিয়ে ঠেকেছে কৃষকের নাগালের বাইরে। এতে করে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে চরম বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে বিসিআইসির বাফার স্টকের গুদাম রয়েছে ১৪টি। বিসিআইসির অনুমোদিত পরিবহন ঠিকাদারেরা সার এনে সেখান থেকে ট্রাকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। কিন্তু হরতাল-অবরোধে সড়ক পথ বন্ধ থাকায় মাঠপর্যায়ে সারের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও ডিলাররা সার নিতে আসছেন না।
এদিকে টানা হরতাল ও অবরোধের অজুহাতে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন ডিলাররা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। অথচ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন না জেলা ও উপজেলা সার মনিটরিং কমিটি।
স্থানীয় তানোর, গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাটের কৃষকদের অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন উপজেয়ায় সার ডিলাররা সব ধরনের সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি করেছেন। কৃষকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কৃষি বিভাগে অভিযোগ করেও কোনো ফল আসছে না। তারা বলেন, এখন বোরো, আলু, গমসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদের সময়। মাঠে প্রচুর সারের প্রয়োজন। কিন্তু সার মিলছে না। যারা জমি তৈরি করেছেন তারা সারের জন্য এখন হন্যে হয়ে ঘুরছেন। আর এই সুযোগে স্থানীয় ডিলাররা সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে সব ধরনের সারের বস্তাপ্রতি দেড় থেকে দুইশ টাকা এবং কীটনাশকেও অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন সার ডিলাররা। বাঘার আমোদপুর গ্রামের কৃষক আকবর আলী অভিযোগ করে বলেন, তিনি বুধবার বিকালে ৮০০ টাকা বস্তার ইউরিয়া সার কিনেছেন ১ হাজার পঞ্চাশ টাকায়। একই অভিযোগ করেন বাগমারা, তানোর ও গোদাগাড়ীর কৃষকরা।
জেলার বাঘার বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার বাচ্চু মিয়া ও দুলাল হোসেন সার ও কীটনাশকের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবহনের কারণে সার সংকট হওয়ায় ক্ষেত্রবিশেষে সারের দাম ৫০-৬০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।