জাতীয় ঐক্যের সরকারে ৪৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ নিচ্ছে আগামী রবিবার বিকাল ৪টায়। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভায় ক্লিন ইমেজ ও দক্ষতা-যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে একটি শক্তিশালী সরকার হাজির করে জনগণের আস্থা অর্জনের পথে হাঁটতে চান তৃতীয় বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাওয়া শেখ হাসিনা। আজ বেলা ১০টায় এমপিদের শপথের পর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হবে। এই নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হলে তিনি শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের অনুরোধ জানাবেন। এবারও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সংসদ উপনেতা থাকছেন। মন্ত্রিসভায় কতজন পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সেটি আজকালের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মোট ৩৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী থাকছেন নতুন সরকারে। অন্যদিকে ১৪ দলের শরিক জাসদের হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন মন্ত্রী থাকছেন। জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন। বাকি ৭টি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে।
সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার তালিকা শেখ হাসিনা নিজেই তৈরি করছেন। ঘনিষ্ঠজনদের কিছুটা আভাস-ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিগত সরকারে শেখ হাসিনা যে রকম জেলার প্রবীণ নেতাদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছিলেন। তেমনি নওগাঁর এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, মৌলভীবাজারের সৈয়দ মহসীন আলীর মতো দু-তিনজন প্রবীণ নেতাকে এবার রাখতে পারেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি আমির হোসেন আমু ও ক্রাইসিস ম্যানেজার তোফায়েল আহমেদকে এই মন্ত্রিসভার শীর্ষ পর্যায়ে রাখতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদের, মুজিবুল হক থাকছেনই মন্ত্রিসভায়। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মন্ত্রিসভায় যারা থাকছেন তারা হলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. হাছান মাহমুদ, ক্যাপ্টেন (অব.) এবিএম তাজুল ইসলাম, মেহের আফরোজ চুমকি। নতুন মুখ হিসেবে একটানা পাঁচ বারের এমপি মির্জা আজম, বীর বাহাদুরসহ কয়েকজন নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, এবার শেখ হাসিনা গভীর চিন্তা-ভাবনা করে মন্ত্রিসভার তালিকা করছেন। এক্ষেত্রে বিগত পাঁচ বছরে যারা নানা কর্মকাণ্ডে আর দুর্নীতি অদক্ষতায় বিতর্কিত হয়েছেন তাদের তালিকায় ঠাঁই দিচ্ছেন না। জেলায় জেলায় সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ও জনপ্রিয় নেতাদের ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় পার্টি থেকে দক্ষতা ও যোগ্যতার বিচারে শীর্ষে থাকা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মন্ত্রিসভায় থাকছেন। তার সঙ্গে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, মজিবুল হক চুন্নু, তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তবে রওশন এরশাদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে একজনকে মন্ত্রিসভায় না গিয়ে দায়িত্ব নিতে হতে পারে। সেই সঙ্গে বিরোধী দলের চিফ হুইপ হিসেবে একজনকে দায়িত্ব নিতে হতে পারে। তখন এই জায়গায় নতুন মুখ আসতে পারে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।