জন্ম : ৯ মে ১৯৩৩
পিতা : আব্বাসউদ্দীন আহমদ, মা : বেগম লুৎফুন্নেসা
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক [১৯৪৮], জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক [১৯৫০] উত্তীর্ণ। এসএসসিতে সম্মিলিত মেধাতালিকায় সপ্তম ও এইচএসসিতে পঞ্চম স্থান লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স [১৯৫৩] ও এমএ [১৯৫৪] ডিগ্রি
অর্জন করেন। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিঙ্ অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে ১৯৫৮ সালে এমএসএস [ই-কন] এবং লিংকন্স থেকে ১৯৫৯ সালে
বার.এট.ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬০-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা বার-এ আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ৭ এপ্রিল ১৯৭৯ থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৯ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ এবং ১৯৯৯ সালের ১ মে থেকে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পর ২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের লিগ্যাল অ্যান্ড জুডিশিয়াল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিনা পারিশ্রমিকে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রসঙ্গে ৩ হাজার আইনজীবী, বিচারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেন। এ ব্যবস্থাটি বাংলাদেশ বিচার ব্যবস্থায় চালু করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৫-০৭ সালে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ১৯৬১-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করেন। তার স্ত্রী [প্রয়াত] হোসনে আরা কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ড. নাশিদ কামাল, নাইলা কামাল সাত্তার ও নাফিজা কামাল মোমেনের পিতা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।