আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোদীর উত্থানে নষ্ট হতে পারে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

দেবযানী কাণ্ডেই শেষ নয়, ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হতে পারে খোদ নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে টাইম ম্যাগাজিনে। টাইমের ২৭ জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হতে চলেছে এই সংক্রান্ত প্রবন্ধ। দেবযানী খোবরাগাড়ে ইস্যুতে থমকে গেছে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। নয়াদিল্লি দেবযানীকে দেশে ফিরিয়ে আনায় দু'দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বেড়েছে।

তবে এই তিক্ততা কাটিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামতে জোর দিচ্ছে দুই দেশ। ঠিক এমনই একটা সময়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক দ্বৈরথ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল টাইম ম্যাগাজিন।

বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ওই ম্যাগাজিনে, আগামী ২৭ জানুয়ারি যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে চলেছে, তাতে আশঙ্কার কেন্দ্রে রয়েছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে, জনৈক মাইকেল ক্রাউলে লিখেছেন, ভারত-মার্কিন দ্বন্দ্ব খুব শিগগিরই কেটে যাবে, এমনটা আশা করা উচিত নয়। আরও বিশিষ্ট এক ভারতীয় নাগরিকের ভিসা বিতর্ক ঘিরে, দুদেশের কূটনৈতিক সংঘাত অদূর ভবিষ্যতে আরও তীব্র হতে পারে।

ক্রাউলে আরও লিখেছেন, মে মাসে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করলে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হিংসার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নৃশংস ভূমিকার অভিযোগ রয়েছে। এরপরই ক্রাউলের প্রশ্ন, মার্কিন প্রশাসন মোদীর ভিসায় নিষেধাজ্ঞা যখন বহাল করেছিল, তখন তিনি জাতীয় স্তরের নেতা ছিলেন না। কিন্তু ওয়াশিংটন কি লিডার অফ ইন্ডিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে?

মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে আমেরিকার কূটনৈতিক অবস্থান কী হতে পারে এ নিয়ে মার্কিন নীতিনির্ধারকরা দ্বিধাবিভক্ত। গত নভেম্বরে মার্কিন কংগ্রেসে যে প্রস্তাব আনা হয়, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য মোদীর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার পক্ষে প্রশ্ন করেছেন।

সেইমতো নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পররাষ্ট্রবিষয়ক দফতরকে। কিন্তু আরেকপক্ষের মতে, ভারত-মার্কিন সুসম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে মোদীর ওপর থেকে মার্কিন প্রশাসনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতা তুলে এনেছেন ক্রাউলে। তার দাবি, ভারত তো বটেই, বাণিজ্যিক স্বার্থে তার চেয়েও অনেক অপছন্দের দেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে ওয়াশিংটনকে।

ক্রাউলের বক্তব্য, নীতির চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় ওবামা প্রশাসনও।

এই পরিস্থিতিতে মোদী বিতর্কের রেশ কোনদিকে গড়ায়, সে প্রশ্নই তোলা হয়েছে টাইম ম্যাগাজিনে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.