আর তার এই সক্রিয়তার পর দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, জাতীয় পার্টির‘আকাশের কালো মেঘ’ শিগগিরই কেটে যাবে।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর নাটকীয় অসুস্থতায় হাসপাতালে থেকে ভোটে জিতে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও দলের কোনো কর্মসূচিতে আসছিলেন না এরশাদ।
সোমবার বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হতে আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নিতে আসেন এরশাদ। তার সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও মহাসচিব হাওলাদারও ছিলেন।
মহাসচিব জানান, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সংরক্ষিত আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত সদস্যদের তালিকা পাঠানো হবে।
এরশাদ এবং তার স্ত্রী সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের যৌথ সম্মতির ভিত্তিতেই তালিকা হচ্ছে বলে জানান হাওলাদার।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে জাপার এমপি হতে আগ্রহীরা
হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা গুজব।
“অনেকেই বলছেন, চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এই সব অপপ্রচার ও গুজব। পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতার মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই। ”
গত ১২ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন এরশাদ। এরপর থেকে তার পাশাপাশি হাওলাদারও দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাওলাদার বলেন,“সময়ের ব্যবধানে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই পার্টি অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে।
“আকাশ সাময়িক সময়ের জন্য মেঘলা থাকতে পারে। কিন্তু সেই মেঘের আড়ালে সূর্য ঠিকই থাকে। অপেক্ষা কর, এই মেঘ কেটে যাবে।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।