আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোশাকশিল্পের অব্যবস্থা

দেশের পোশাকশিল্প এখন আসামির কাঠগড়ায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ১৮টি তৈরি পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে। এসব কারখানার শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন এবং চাকরিচ্যুতির অভিযোগ আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এ অভিযোগের সঙ্গে ইতোমধ্যে কণ্ঠ মিলিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। এ বিষয়ে পাঁচ পশ্চিমা রাষ্ট্রদূত ১৩ ফেব্রুয়ারি পোশাক শিল্প সম্পর্কিত সচিব কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের শ্রম পরিবেশ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে পোশাকশিল্প সংক্রান্ত সচিব কমিটির কাছে পাঠানো এক নোটে শ্রমিক নির্যাতন ও চাকরিচ্যুতির অভিযোগ করা হয়। দূতাবাসের নোটে বলা হয়, পোশাক খাতে এখনো শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। কোনো কোনো কারখানায় শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনও চালানো হচ্ছে। কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন না করার জন্য মালিকপক্ষ চাপ প্রয়োগ করছে। সংগঠন করার কারণে বাইরের সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন করার দায়ে চাকরিচ্যুতি একটি অগ্রহণযোগ্য বিষয় এবং বাংলাদেশের আইনে সেটি নিষিদ্ধ বলে দূতাবাসের নোটে উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রমিক নির্যাতন ও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এমন কয়েকটি কারখানার নামও উল্লেখ করা হয়েছে নোটে। এতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু ট্রেড ইউনিয়নে মালিক পক্ষের সুবিধাভোগী শ্রমিকরা নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত বছরের ২৭ জুন পোশাক খাতে শ্রম পরিবেশ উন্নত নয় এমন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। পরিস্থিতির অগ্রগতি দেখাতে পারলে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করা হবে এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ থেকে। কিন্তু কোনো কোনো পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। দেশের হাজার হাজার পোশাক কারখানার মধ্যে ১৮টি কারখানা বড় কিছু নয়। কিন্তু সামান্য কয়েকজন মালিকের কাণ্ডজ্ঞানহীন কার্যক্রম দেশের পোশাকশিল্পের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সরকার এসব বেপরোয়া মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.