পৃথিবীতে যতগুলো ধর্মের উদ্ভব হয়েছে প্রত্যেক ধর্মই মানুষকে নীতিবান, সত্যবাদী, ধৈর্য্যশীল এবং সামাজিক হতে শিখিয়েছে। তবে তার মধ্যে কিছু ধর্মের উদ্ভব হয়েছে কুসংস্কার থেকে। এই যেমন হিজবুত তাওহীদ। তারা পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। তারা কি আদৌ মুসলমান নাকি মুসলমান নামে মুনাফিক তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
কারণ আমি প্রত্যক্ষভাবে কোন কিছু দেখিনি। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যা শুনেছি তাতে বলতে পারি নিশ্চয় মুসলমান নয় বরং ইসলাম ধর্ম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছেন। তাদেরকে আমি একটি কথা বলতে চাই, ইসলাম ধ্বংসের জন্য পৃথিবীতে অনেক সমৃদ্ধ জাতি চেষ্টা করেছেন কিন্তু সফল হননি এবং হবেন না(এটা আমি হলফ করে বলতে পারি)। কারণ যতদিন কোরআন থাকবে ততদিন ইসলাম টিকে থাকবে। আর আল্লাহ বলেছেন, "কোরআনের হেফাজত আমি নিজেই করব"।
পশ্চিমা বিশ্ব অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু আপনারা পাঠকরা বলেন এভাবে মানুষ হত্যা করে কি একটা ধর্ম ধ্বংস করা যায়? তাই যদি হত তবে আজকের পৃথিবীতে ইহুদি বলে কোন জাতির অস্তিত্ব থাকত না। কারণ হিটলার ষাট লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছেন,তাও আবার অল্প সময়ে। অথচ ইহুদিরা এখনো টিকে আছে। যদিওবা সংখ্যায় অনেক কম। আর এত বড় একটা মুসলিম জাতি তাদের চক্রান্তে(তাদের হত্যাযজ্ঞে) ধ্বংস হযে যাবে, তা তো চিন্তা করাও অমূলক।
দু:খের বিষয় হল-কিছু মুসলিম আছেন যাদের নাম শুনে মনে হয় পাক্কা মুসলিম কিন্তু তাদের কাজবার অবিশ্বাসীদের মতো। ধর্মের উদ্ভব হয়েছে মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, মানুষকে শৃংখলিত করার জন্য। আপনি যদি স্বার্থবাদী হন, দুনিয়ার প্রতি খুবই মত্ত হয়ে পড়েন, লোভ যদি আপনাকে গ্রাস করে ফেলে, কামিচ্ছা পূরণে খুবই এগ্রেসিভ হন তবে ধর্ম আপনার জন্য খুবই কষ্টকর এবং অমানবিকও বটে। অর্থাৎ যারা মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে সভা-সমাবেশে জোরগলায় বক্তব্য রাখেন এবং মানবাধিকারের সাথে ইসলাম সাংঘর্ষিক বলেন তাদের জন্য ধর্ম অনুসরণ করা খুবই বেদনাদায়ক, কঠিন। এদের বেশিরভাগকে আমরা সুশীল সমাজের সদস্য বলে চিনে থাকি।
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন বাংলাদেশে যত অমানবিক কাজ হয়ে থাকে তার বেশিরভাগ-ই মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক হয়ে থাকে। তারা মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় নিপতিত করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।