আমাদের প্লান্ট ফিজিওলজির শিক্ষক ছিলেন মাহবুব আলম। খুবই চটরাগী মানুষ। তার শিক্ষকতা যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই। জীবনে কখন প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয় নাই টাইপের। কিছু দিন আগেই পোস্ট ডক্টরেট করে আসলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে।
ক্লাসের সময় নষ্ট হবে বলে তিনি নাম ডাকেন না একটা সাদা কাগজ ছেড়ে দেন। আমারা যারা ক্লাস করি তারা যে যার বন্ধুর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে দেই।
তিনি একবার ক্লাসে এসে বললেন তোমরা তো প্রতিদিন অন্যের নাম্বার লিখে দাও আজ কে দয়া করে লিখনা। আমি আজ চেক করবো।
বলে তিনি সাদা কাগজ ছেড়ে দিলেন।
ক্লাসে উপস্থিত ছিল ৭০ জন। কিন্তু কাগজে নাম আছে মোট ১০৭ টা।
স্যার ক্লাসের উপস্থিতি গুনলেন তারপর কাগজের নাম্বার গুনলেন। তারপর কাগজ টা ভাজ করে পকেটে ভরলেন। আমি ভাবছি তিনি হইত প্রচণ্ড রাগ করবেন।
কিন্তু না তিনি বললেন তোমাদের এমন আচরনে আমি খুব কষ্ট পেলাম। আমি তো প্রতিদিন গুনি না আজ গুন্তে চেয়েছি এবং তোমাদের কাছ থেকে আমি ভালো কিছু আশা করছিলাম। তোমরা অন্যের নাম্বার লিখ এটা আমি জানি। একদিন শুধু তোমাদের সততা যাচাই করলাম। এবং তোমাদের আমি আগেই বলেছিলাম আজ অন্তত লিখনা।
আসলে আমাদের জাতিগত ভাবে নৈতিকতার অবক্ষয় হয়েছে। যেখানে দেশের উচ্চ পর্যায়ে নৈতিকতার অবক্ষয় হয় তখন তোমাদের কথা কি বলব। একদিন তোমরা দেশ চালাবা কিন্তু তোমাদের নীতির এই করুন অবস্থা দেখে আমার লজ্জা করছে। যে আমি তোমাদের কি শিক্ষা দিচ্ছি।
এই কথা বলে তিনি ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলেন।
এতো প্যাচাল পাড়ার কারন
‘এভারেস্টজয়ীর’ তালিকায় মুসা নেই
পাহাড়ে উঠার মিথ্যা সার্টিফিকেট মুসা-মুহিত দু’জনেরই আছে!
এক এভারেস্ট নিয়ে কেন আদালতে যাবো? কেন এতো বড় অর্জন
প্রশ্ন বিদ্ধ হবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।