আল-কায়েদার ভিডিওবার্তার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টতার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন নয়। জামায়াতের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ ও আল-কায়েদার ফুটেজে কোনো পার্থক্য নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাওয়াহিরি, জামায়াত ও খালেদার বার্তা এক। তারা বাংলাদেশের ইসলাম ধ্বংসের চেষ্টা করছেন। তারা বাংলাদেশকে জঙ্গি-তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চায়। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে বলেন, আপনারা ষড়যন্ত্র করে ৭১-এ পারেননি। এখনো পারবেন না। তিনি মার্কিন কূটনীতিকে কূট রাজনীতিতে না জড়িয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার আহ্বান জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল মাগরিবের নামাজের বিরতির পর সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এসব কথা বলেন। আল-কায়েদাপ্রধান জাওয়াহিরির বাংলাদেশে জিহাদের ডাক নিয়ে ভিডিওবার্তা প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে সংসদে। আর এ ঘটনা এ দেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র বলে অভিহত করে এর জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে সংসদে বক্তব্য দেন সরকারদলীয় অন্য এমপিরাও। শেখ সেলিম আল-কায়েদার ভিডিওবার্তার নিন্দা জানিয়ে বলেন, জাওয়াহিরি বাংলাদেশে জেহাদের ডাক দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। '৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত যে ভাষায় কথা বলছে এই ভিডিওবার্তায় তারই প্রতিফলন রয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে। জাওয়াহিরিও তার ভিডিওবার্তায় একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ ও শান্তিপ্রিয়। তারা জঙ্গি নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।