ত্রিশালে তিন জঙ্গির পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুটিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির নজির বলে দাবি করেছেন তিনি।
রোববার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজনভ্যানে বোমা মেরে এক কনস্টেবলকে হত্যা করে জেএমবির তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
একইদিন ঢাকার আদালতে হাজিরা দিতে এসে জামিন বাতিলের আভাস পেয়ে পালিয়ে যান ছাত্রলীগকর্মী জুবায়ের হত্যামামলার আসামি চারজন।
এই দুটি ঘটনা তুলে ধরে বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তা এই দুটি ঘটনায়ই বোঝা যায়। ”
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে জুবায়ের হত্যামামলার আসামিদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “কেবল তাই নয়, ত্রিশালে পুলিশ ভ্যানের ওপর বোমা মেরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল!”
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রফিকুল বলেন, “এরকম পরিস্থিতি দেশের সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের জন্য হুমকি।
“সরকার হুঙ্কার দেয়, অথচ এই ঘটনায় বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি। ”
ত্রিশালে পালিয়ে যাওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে একজন রাকিবুল হাসানকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক অন্য দুজন হলেন- সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি এবং জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান।
রফিকুল ইসলাম মিয়া (ফাইল ছবি)
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্বে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবির পর দ্বিতীয় পর্বে ব্যাপক কারচুপি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
“প্রথম দফার নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোটের বিজয় দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা দ্বিতীয় দফায় বৃহত্তর আকারে ভোট কারচুপি করে জনগণের রায়কে ছিনতাই করতে পারে বলে আমরা সন্দেহ হচ্ছে। ”
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মধ্যে দিয়ে গঠিত ‘অবৈধ’ সরকার বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা রফিকুল।
জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, “দশম সংসদ একটি তাসের ঘর।
জনগণের ভোটে এই সংসদ হয়নি। এই সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।