ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে জুতা নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কেন্দ্রীয় নেতাদের তোয়াক্কা না করেই জিয়া হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা মারামারি করে। এ ঘটনায় সাতজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী সহসভাপতি সাদ্দাম ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী সহসভাপতি সোহাগের মধ্যে মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেখানে দুজনের অনুসারীরা যোগ দিলে ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করে এবং চারদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই হলের কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেয়। ঘটনার সময় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতাদের তোয়াক্কা না করে তাদের সামনেই মারামারি করতে থাকে দুই পক্ষ। পরে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ঘটনা মধুর ক্যান্টিন পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ ঘটনায় জিয়া হলের সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওন ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্সকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস এবং সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মেহেদি হাসান মোল্লা। বহিষ্কৃতরা হলেন- সহসভাপতি সাদ্দাম, সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসু, কর্মী অপু, রিয়াদ এবং আসাদ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।