পৃথিবীতে এত কিছু থাকতে সংগীতে কেন জড়ালেন?
কি করব, ভেতরে আছে যে। শিল্পের যতগুলো শাখা-প্রশাখা আছে, এর মধ্যে 'গান' প্রধান আকর্ষণ। মানুষের মনে খুব সহজে পেঁৗছে যায়। মানুষ বিরহেও গান শোনে, আনন্দেও শোনে। আমি মানুষের আবেগের সব রঙ নিয়ে খেলতে ভালোবাসি।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
আমি মাছরাঙা টেলিভিশন চ্যানেলে চাকরি করি। এটা আমার দিনের পুরোটা নিয়ে নেয়। সন্ধ্যার পর যদি কেউ ডাকে, গান নিয়ে বসি।
তাহলে আপনার প্রথম পরিচয় কি?
আমি প্রথমে গীতিকবি। তারপর অন্যসব। জীবনযাপনের জন্য আমি চাকরি করি; কিন্তু ভালোবাসি গান। মনের ক্ষুধা বলেন আর সৃজনশীলতা বলেন- আমি গানের মধ্যেই ডুবে থাকি।
গান লিখে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। সেই আপনি শুধু গানে সময় দিতে পারছেন না। চাকরিও করতে হচ্ছে। তাহলে গান লেখা পেশা হতে পারে না?
আমি পেশাদার গীতিকবি। নিয়মিত গান লিখছি। এক যুগ ধরে চলচ্চিত্রের সিংহভাগ গান আমার লেখা। তবুও আমাকে চাকরি করতে হচ্ছে। কারণ গান লিখে আমরা কিছু সম্মানী পাই। কিন্তু গানের রয়্যালিটি পাই না। গানের প্রতি কোনো অধিকারই থাকে না। তাহলে কিভাবে সম্ভব গান লেখাকে পেশা হিসেবে নেওয়া! কিন্তু লিখছি। পেশা হিসেবেও নিয়েছি। প্রতি মুহূর্ত গান লেখার জন্য মুখিয়ে থাকি। সময়ের সঙ্গে যাওয়ার চর্চা করছি। নতুনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
নতুন গীতিকবিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা?
হুম। নতুন ফুলের সুবাস সবাই নিতে চায়। তাই সব সময় আমাকে নতুন থাকতে হয়। সেকেলে হলে চলবে না।
আপনি তো নতুনই আছেন। 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী' ছবির সব গানই শ্রোতারা গ্রহণ করেছে।
ভালো গানের জন্য শ্রোতারা মুখিয়ে থাকে। তবে এ ছবির গান শ্রোতাদের দরজায় পেঁৗছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মিডিয়ারও ভূমিকা আছে।
অডিওতে নেই কেন?
অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা তো জানেনই। খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। এক সময় আমরাই তো এই ইন্ডাস্ট্রিকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু টিকে নেই। আমি খুব মিস করি। কেউ লিখতে বললে লিখে দিই। চলচ্চিত্রে বেশি ব্যস্ত থাকায় ওভাবে আর হয়ে ওঠে না। পথও নেই।
এখনকার গান নিয়ে কি বলবেন?
সব যান্ত্রিক হয়ে গেছে। সব গান শুনতে একই স্বাদের। এভাবে হয়তো জনপ্রিয়তা আসছে। কিন্তু সাময়িক।
নতুন গীতিকবিদের কোনো সাজেশন?
অনেকেই গান লিখছে। অনেকের হাত ভালো। তবে বেশির ভাগের গানেই চিত্রকল্প নেই, গল্প নেই, ছন্দ নেই, অন্তমিল নেই। আসলে কবিতা পড়তে হবে, ঐতিহাসিক গান শুনতে হবে। নিজেকে রিসার্চ করতে হবে। তবে সবাই আরও সমৃদ্ধ হবে।
চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
এক সময় আমাদের চলচ্চিত্র ছিল আলোতে, কলকাতার অন্ধকারে। এখন উল্টো। তবে আমি আশাবাদী, আবার জেগে উঠবে। কিছু প্রচেষ্টা আমরা দেখছিও। হয়তো আমরা সুফল পাব শীঘ্রই।
সত্যিই কি তাই! আপনার কথাই বলুন, আপনি কি আপনার গানের চিত্রায়ণ নিয়ে খুশি?
অখুশি যে হই না, তা নয়। কিছুদিন আগে খুব ভালো একটি গান করেছিলাম। কিন্তু চিত্রায়ণ দেখে কষ্ট পেয়েছি। আশা করি, পরিস্থিতি পাল্টাবে।
এখন কি গান লিখছেন?
বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান লিখছি। তালিকা লম্বাই বলা যায়। *শোবিজ প্রতিবেদক
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।