এপ্রিল থেকে তৃণমূলে সাংগঠনিক সফরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্ভাব্য বিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় তৃণমূলকে সংগঠিত করার জন্য এ সফর বলে জানিয়েছেন দলের একাধিক নীতিনির্ধারক।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই ডাকা হতে পারে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক। ওই বৈঠক থেকেই চূড়ান্ত করা হবে জেলা সফর কর্মসূচি। গঠন করা হবে সাংগঠনিক দল।
আওয়ামী লীগের ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে যেসব জেলায় সম্মেলন হয়নি এ সাংগঠনিক সফরেই তা সম্পন্ন করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, জনসভা করবেন। এসব শেষে জেলা ও বিভাগীয় সমাবেশ করা হবে। ওইসব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এপ্রিল মাসেই নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ঢাকা মহানগরের কেন্দ্রীয় ও সব ওয়ার্ড, থানার নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজও চলছে। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা মনে করছেন, জেলায় জেলায় দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে কার্যকরী উদ্যোগ না নেওয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক বিপর্যয়ের কারণে বিগত অক্টোরব মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে সরকারকে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরও এসব কোন্দল নিরসন না করা, নতুন নেতৃত্ব না আনায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটা নড়বড়ে অবস্থায় চলে গেছে। যে কারণে উপজেলা নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের অনেকের শোচনীয়ভাবে পরাজয় হয়েছে।
এ অবস্থায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী মাস থেকেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর শুরু করা হবে। এ সফরের মাধ্যমে তৃণমূলকে চাঙ্গা করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেসব জেলায় সম্মেলন হয়নি, সেগুলোর দ্রুত সম্মেলন করা হবে। দলীয় সূত্রমতে, এপ্রিলের মাঝামাঝিতে ঘোষণা করা হবে মহানগর আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নতুন কমিটির নাম।
নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটির মাধ্যমে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হবে বলে মনে করেন দলের শীর্ষ নেতারা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম মোবাইলফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী শক্তির অপ্রচারের জবাব দিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দল সারা দেশে গণসংযোগ করবে। বিভাগীয় পর্যায়ে মহাসমাবেশ ও জেলা পর্যায়ে জনসভা করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল নেতা-কর্মীর মনোবল চাঙ্গা করা, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জনগণের সামনে তুলে ধরে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো। এগুলো করতে পারলে আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ সফরের মূল লক্ষ্য থাকবে, দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।