আখচাষিদের পাওনা ১২ কোটি টাকা বকেয়া রেখে শুক্রবার বন্ধ হয়ে গেছে নাটোর চিনিকল। এদিকে মিলের গুদামে ১৯ হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রীত পড়ে থাকলেও বাজারে আমদানি করা চিনি কমদামে বিক্রি হওয়ায় দাম কমিয়েও বিক্রি হচ্ছে না মিলের চিনি। নাটোর চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, এবার নাটোর চিনিকলে ১১ হাজার ৮৮৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদিত হয়েছে। চিনিকলে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ৬৮ টাকা। কিন্তু চিনি বিক্রি না হওয়ায় সম্প্রতি চিনির বিক্রয়মূল্য কমিয়ে প্রতি কেজি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবুও চিনি তুলছেন না ডিলাররা। এদিকে চিনি বিক্রি না হওয়ায় চাষিদের আখের দাম ১২ কোটি টাকা ও মিলের শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারছে না মিল কর্তৃপক্ষ। মিল সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু হয়। চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত আখ মাড়াই হয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। এবার মৌসুমের শুরুতেই হরতাল-অবরোধের কারণে মিলে উৎপাদন বন্ধ ছিল ২১ দিন। এতে একদিকে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, অন্যদিকে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। গত দুই বছরে নাটোর চিনিকল লোকসান দিয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এবার প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছে মিল কর্তৃপক্ষ। নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরশাদ আলী বলেন, 'চিনিকল করপোরেশন ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চলতে হচ্ছে মিলকে। এই অবস্থায় মিল বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।