সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে আসন্ন ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে এবিষয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্টা থাকবে বলেও জানান তিনি।
রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট মতবিনিময়ে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেছেন, “সোশ্যাল সেফটি নেটের পরিবর্তে আমরা সোশ্যাল সিকিউরিটি হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালুর একটি উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে বেসরকারি কর্মকর্তারাও পেনশন পান। ”
তবে কোন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতে পেনশন দেয়া হবে সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি মন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশে একটি সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট চালুর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বেসরকারি খাতে পেনশন চালুর কথা চিন্তা করা হচ্ছে। বেসরকারি খাতের এই পেনশন স্কিমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ মিলে সম্মিলিত তহবিল থাকবে, যা সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে। ওই বিনিয়োগের মুনাফা থেকে অবকাশকালীন ভাতা দেয়ার ধারণা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এর আগে এনজিও খাতের প্রতিনিধিরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বাড়িয়ে এই কর্মসূচির কাঠামো পরিবর্তনের পরামর্শ দেন।
সভার শুরুতে মুহিত বলেন, “আসন্ন বাজেটে বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা আপনারা দেখতে পাবেন।
এর মধ্যে বিশেষ হচ্ছে- মন্ত্রীদের প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা বাড়ানো হবে। ”
বর্তমানে পরিকল্পনামন্ত্রী ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের প্রকল্প অনুমোদন করতে পারেন। অন্য মন্ত্রীরা সাত কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের কারিগরি প্রকল্প অনুমোদন করতে পারেন। এর বেশি হলে তা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠাতে হয়।
অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালাতেও (পিপিআর) পরিবর্তন আসবে, যা নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে।
“যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য একটি মাস্টারপ্লান করা হচ্ছে। ”
শিক্ষা খাতের বরাদ্দের সিংহভাগ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয় বলে উল্লেখ করে বণ্টনেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষক, শিক্ষার মান উন্নয়নে বরাদ্দ থাকে কম। আমি এবার এসব খাতে (শিক্ষক, শিক্ষার মান উন্নয়নে) বরাদ্দ বাড়াতে চাই।
“দূষণ কর (পলিউশন ট্যাক্স) চালুরও একটা উদ্যোগ থাকবে।
তবে এটা খুব জটিল। এছাড়া মানব সম্পদ উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া কৃষিতেও কিছু পরিবর্তন আসবে। ”
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী নির্বাচনী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চান।
কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মজীবী নারীদের বাসস্থান, সহজ যাতায়াত ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
ফাইল ছবি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।