রজনীর নিস্তব্ধতা নিয়েছে কেড়ে
দিবসের অগোছালো হৈ হুল্লো রে।
তথা বিশ্রামের তর সবে ক্ষান্ত
যেন ক্লান্তি-শ্রান্তিতে অবশান্ত।
তখন অস্পর্শীয় তুমিই বিনিদ্রায়
বসে আছ একাকী বাসর শয্যায়।
আমি দরজা ঠেলে ভীতর যেতেই
লাজুক লতা লাজুক হলে লাজেই।
তারপর মৃদু পায়ে কাছে যেয়ে বসি
তুলি ঘোমটাখানি তোমার প্রেয়সী।
দেখি চন্দ্রিমা আলো মোর আলয়েতে
অচেনা এক শিহরণ জাগে গায়েতে।
বিমুগ্ধে বল্লেম,"বাহ! কি সুন্দর তুমি,
যেন ঐ স্বর্গীয় অপ্সরী এসেছো নামি!
তুমি ফুলরানী গোলাপ জানি
স্বপ্নদেবী আমার হৃদয়খানি"।
ঘরে শ্রী কামিনীর নেশাটে সুবাস
বাহিরে চন্দ্রিমাকাশ মৃদু বাতাস।
দুষ্টমিঃ "কি আজই বিড়াল মারবো"
বল্লে তুমি-"যাহ! অসভ্য, যা ভাবো"।
হায়! তোমায় আপন করতে গেলে
লাজে হস্তে মুখ লুকোলে বক্ষাড়ালে।
অত:পর জড়িয়ে নিলে চুমো খেতে গাও
অপ্রস্ফুঠিত স্বরঃ "বাতিটা নিভিয়ে দাও"।
পুনর্বার আমি বল্লেম-"না, তা হবে না,
নিব আজি প্রতীক্ষিত কাঙ্খিত রসনা।
দেখবো আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ট সৌন্দর্য্য,
যা রেখেছো যতন, যা মোর ঐশ্বর্য্য"।
আচমকা বৃষ্টি এলে স্বাগত স্বরে
তুমি কোন বাঁধ সাধলে না পরে।
এলিয়ে দিতেই জলে নদী হলে
যেমন অনল তাপে মোম গলে।
সে গহীন নদীতে কাটছি সাঁতার
আনি অভূতপূর্ব সুখ জোয়ার।
সারা রাতের সে মায়ামী বুকে
এমনই প্রেম চলে অভীষ্টলক্ষ্যে।
মনে পড়ে কি দাম্পত্য প্রেয়তঃ
বাসরের স্মৃতিময় প্রথম রাত?
নিশ্চয় দিয়েছিল দোলা হৃদয়ে-
কুমার-কুমারিত্ত্ব বাঁধ ভাঙ্গা সময়ে!
-০-।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।