এসো ভাই , তোলো হাই , শুয়ে পড়ো চিত, অনিশ্চিত এ সংসারে এ কথা নিশ্চিত - জগতে সকলই মিথ্যা , সব মায়াময়, স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়। মৃর্ত্যু পরবর্তীকালে ইশ্বর নির্দেশ দিলেন গত দুই দিনে পৃথিবী থেকে নতুন যারা এই জগতে এসেছে তাদের আমার কাছে নিয়ে আস। সবাইকে হাজির করা হল, একে একে ইশ্বর সবার সাথে পরিচিত হতে লাগলেন। তাদের মাঝে যাদের অপমৃর্ত্যু হয়েছে তাদেরকে আলাদা করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন তাদের চাওয়া পাওয়া কী? তারা স্বর্গের কোন অংশে থাকতে চায়। একে একে সবাই তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা ইশ্বরকে শুধালো।
সবার শেষে রক্তাক্ত দেহে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ভীরু পায়ে ইশ্বরের সামনে এলেন বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় সরকারী দলের রড, চাপাতির আঘাতে মৃর্ত্যুবরণকারী নিরীহ বিশ্বজিত। ইশ্বর পরম মমতায় চাপাতির কোপে কেটে যাওয়া বিশ্বজিতের রক্তাক্ত ক্ষতস্থানে হাত বুলিয়ে দিয়ে মনের অজান্তেই বলে উঠলেন "আহা"। তার শরীর তখনো আতঙ্কে কেঁপে কেঁপে উঠছে। ইশ্বর তার চেহারার দিকে তাকিয়ে নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন: "বল বিশ্বজিত! তুমি স্বর্গের কোন অংশ চাও, বাকী কি কি সুযোগ সুবিধা চাই তোমার?" বিশ্বজিত এবার একটু সাহস সঞ্চয় করে মাথা তুলে বললেন: "মহান ইশ্বর আমি স্বর্গ চাইনা, আমার শুধু একটা আরজি আছে। " ইশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইলেন কি সেই আরজ।
"পূণর্জন্মে আমাকে তুমি বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে পাঠিওনা, আর পাঠালেও আমাকে মানুষ হিসেবে না পাঠিয়ে সিটি কর্পোরেশন এর ময়লা আবর্জনাবাহী গাড়ী হিসেবে পাঠিও। মানুষ হিসেবে পাঠালে আমি আবার খুন হব, যথারীতি আমার খুনীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। আর আবর্জনার গাড়ী হলে আমার উপর আঘাত কিংবা ভাংচুর হবার সাথে সাথেই অপরাধী যেই হোক সে গ্রেফতার হবে, পৃথিবীতেই তাদের বিচার হবে। প্রিয় ইশ্বর তুমি কি জান তোমার সৃষ্ট বাংলাদেশে মানুষ থেকেও ময়লাবাহী গাড়ীর মূল্য অনেক বেশী। "
ইশ্বর কিছু একটা বলতে গিয়েও বলতে পারলেন না।
শুধু নিচু স্বরে হুমমম বলে মাথা নিচু করে রইলেন....। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।