আমার আগের নিক হ্যাক হয়েছে কিনতু দ্বাবি একটাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই। ___________________ @সুলতান মির্জা বহুত কাঙ্খিত আমাদের এই দেশে একটি দ্বায়মুক্তি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে মাধ্যমে কলঙ্ক মুক্ত অধ্যায়ের সূচনা শুরু করেছে বর্তমান সরকার। যেখানে আমরা খেয়াল করেছি এই বিচার শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা।
আমরা শুনেছি অতি সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের রাজধানীর কাছে তুরস্কের একটি জঙ্গি সমর্থিত রাজনৈতিক দল সাদেত পার্টির উদ্যোগে বাংলাদেশের এই যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে সারা বিশ্বের শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন গুলো এক সমাবেশে মিলিত হয়েছিল, উল্লেখ্য জঙ্গি সংগঠন হামাস ও মিশরের ব্রাদার হুড ছিল প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
সেখান থেকে বাংলাদেশের এই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এমনকি হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে যদি শেখ হাসিনার সরকার গোলাম আজম ও তাদের সঙ্গীদের মুক্তি না দেয় তাহলে শেখ হাসিনা কে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে।
আমরা দেখেছি বহির্বিশ্বে টবি ক্যাডম্যানের মতো লোকেরা কীভাবে ট্রাইবুনাল সম্পর্কে মিথ্যাচার করে বেড়িয়েছে, দেখেছি আলি আলগামদির মতো মিডিয়াবাজেরা সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশ এবং ট্রাইবুনাল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে, এমনকী বাংলাদেশ সরকারকে নানা ভাবে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়ার নিদর্শনও মিলেছে।
এই প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ সংযোজন লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দি ইকোনমিস্ট, এবং তাদের অনুসরণ করে প্রচারে নেমেছে বাংলাদেশের একটি বিতর্কিত পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ।
আমার দেশের প্রতিবেদনটির ব্যাপারে বলতে গেলে সরাসরি বলা যায় এই প্রতিবেদনটি একটি উদ্দেশ্য প্রণীত।
খেয়াল করে পড়লে বুঝতে পারবেন একেবারে শুরুতেই একটি মারাত্মক ভুল করেছেন আমার দেশের প্রতিবেদক। সেখানে নিজামুল হক নাসিমকে মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত এই নামে কোন ট্রাইবুনালের অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে যে দু'টি ট্রাইবুনাল চলমান তাদের নাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এক এবং দুই। গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্যগত ভুল দিয়ে শুরু হয়েছে আমার দেশের প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন টি পড়ে দেখতে পারেন লিঙ্ক থেকে।
প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য প্রণীত বলার প্রেক্ষাপটে বলছি,সারাবিশ্বে এই ধরণের বিচার যখনই হয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধ নিয়ে কাজ করে এবং যার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অপরিসীম, তখনই বিচারকেরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সোর্স থেকে সাহায্য নিয়েছেন এবং নিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশের বিচারকেরা যদি নিয়ে থাকেন তাহলে দোষের কী হয়েছে ?
সারা পৃথিবীতে এই ধরনের বিচারের ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকে গবেষক টিম, কপি এডিটর, প্রুফ রিডার, আরও থাকে ইন্টার্নদের একটি টিম। একটি বিশাল ওয়ার্কফোর্স কাজ করে এরকম একটি বিচার প্রক্রিয়ার পেছনে। বাংলাদেশে সেটি হয়নি নানা জটিলতায় এর মধ্যে বলা যেতে পারে আমাদের দেশটি দরিদ্র, আমাদের ভেতরে বাইরে শত্রু অসংখ্য, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা প্রচুর।
আমাদের সামর্থ্য হয়নি এটি করার জন্য। সেই অবস্থায় এই কাজটি বিনে পয়সায় করে দিতে এগিয়ে এসেছেন কয়েকজন মানুষ। তারা কী করেছেন? তারা বাংলাদেশের এই মানবতা বিরোধী বিচারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য ট্রাইবুনাল কে স্কাইপের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছে মাত্র। তারা গবেষণা, ড্রাফটিং আর এডিটিং সহায়তাটুকু দিয়েছেন। সেটিও করেছেন বিচারকের অনুরোধে, বিচারকের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা অনুসারে।
এই প্রসঙ্গে নিজামুল হক বৃহস্পতিবার আদালতে বলেছেন,
আমরা আগেই বলেছি ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ নতুন একটি আইনে তার বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের জন্য কাজটিও নতুন। সে কারণে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ হিসেবেই আমি আহমেদ জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছি। যা ছিলো একান্তই নিজস্ব আলোচনা।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে উল্লেখিত প্রতিবেদনে যে দৃষ্টি ভঙ্গির প্রকাশ রয়েছে এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে, তার প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে, আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে নিজামুল হক নাসিমের যে আলোচনা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক আলোচনা।
আলোচনাগুলো হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে, কেমন অগ্রগতি হয়েছে, দেশের মানুষ এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং আগ্রহ কীরকম এইসব নিয়েই। এটি মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়, মানুষ খুব স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ অন্তরঙ্গ আলোচনায় চলমান বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করে। বাংলাদেশে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা ঘটছে সেটি নিয়ে দু'জন মানুষ ঘরোয়া আলোচনা করে নিশ্চয়ই মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেননি।
এবার বলছি দৈনিক আমার দেশের সেই প্রকাশিত প্রতিবেদন এর শিরোনাম এর প্রসঙ্গে সেখানে বলা হয়েছে গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া গেছে তারা একটা রায় চায়। আমিতো মনে করি এটা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।
সরকার পাগল হবে না তবে কী বিরোধীরা পাগল হবে ? যে রায়টি দেখার জন্য দেশের মানুষ দারুণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। এর পেছনে সরকারে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে, লোকবল ব্যয় হচ্ছে, সময় ব্যয় হচ্ছে । সেটি নিয়ে সরকারের এই রকম চিন্তা থাকাটা কী খুবই অস্বাভাবিক ?
এইবার বলছি, ইকোনমিষ্ট প্রসঙ্গে, এখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন এই কথোপকথনের কথা ৬ তারিখের আগে বিচারপতি জানালেন না কেন ? যেহেতু টেলিফোনে অন্য কারো সাথে কথা বলার কথা বিচারপতি বলেননি। এটি খুব হাস্যকর প্রশ্ন। এর বিশ্লেষণ দেওয়া যেতে পারে এই ভাবে প্রথমত, বিচারপতি কাউকেই কিছু বলতে বাধ্য নন, ইকোনমিস্ট অথবা ব্লগার বেনিয়ান এমন কোন অথরিটি নয় যার কাছে তাকে মুখ খুলতে হবে।
দ্বিতীয়ত, একজন বিচারপতি পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে ডেকে ডেকে বলবেন জীবনে কবে কার সাথে কী বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন এটা বাড়াবাড়ি ধরণের অতিকল্পনা। তৃতীয়ত, যেখানে স্পষ্টত একটি বেআইনী উপায়ে তার ব্যক্তিগত নিরাপতা বিঘ্নিত করা হয়েছে সেখানে নিজের নিরাপত্তাকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে তিনি কেন এটি নিয়ে কথা বলতে যাবেন? এবং চতুর্থত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো,ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে তাকে যেভাবে ফোন করা হয়েছে সেই প্রক্রিয়াটিই বেআইনী।
এখন সরকার এর নিকট দ্বাবি জানাই দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
সাধারণ চেতনার ব্লগার কে বলছি
কাজেই বিভ্রান্ত হওয়ার বা বিভ্রান্ত করার কোনও তাত্ত্বিক সুযোগ নেই। যেখানে আমরা সকলেই কমবেশি জানি, আমার দেশ পত্রিকা কাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, ব্রিটিশ পত্রিকা ইকোনমিষ্ট টাকা দিলে পড়ে কী ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে।
অতএব, বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের কাছে অনুরোধ আপনারা ট্রাইবুনালের পাশে থাকুন। ভয় পাবেন না, বিভ্রান্তও হবেন না। আমাদের ট্রাইবুনাল সঠিক পথেই আছে। তার যা দরকার তা হলো আপনার সহযোগিতা। আপনিও এগিয়ে আসুন, ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলে দিন, এইসব অপপ্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনিই দিতে পারেন।
আপনি এক পা এগিয়ে আসুন, শত্রু পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবেই। পাশাপাশি সকলেই মনে রাখতে হবে,ইকোনমিষ্ট আর আমার দেশ এর ক্ষমতা নেই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার দের বাচানোর।
ধন্যবাদ সবাইকে।
স্পেশাল থ্যাংকস সহব্লগার প্রীতম ভাই কে যার অনুপ্রেরণা নিয়ে এই লেখা।
@সুলতান মির্জা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।