আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইকোনমিস্ট এর প্রতিবেদন ও সরকারের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা ইকোনমিস্ট। গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে রাজনৈতিক উত্তেজনা, দুর্নীতি, খুন, অপহরণ ইত্যাদি বিষয় তুলে দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। একটির শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ’স টক্সিক পলিটিকস : ইট ইজ আপ টু ইন্ডিয়া টু ট্রাই টু স্টপ শেখ হাসিনা রুইনিং বাংলাদেশ’। অপরটির শিরোনাম ছিল ‘পলিটিকস ইন বাংলাদেশ : দ্য প্রাইম মিনিস্টার সেটস দ্য কান্ট্রি অন অ্যা ডেঞ্জারাস পাথ’। প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ একঃ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হতে প্রায় ১৮ মাস বাকি থাকতেই রাজপথে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।

বিরোধী নেতাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, তাদের গুম ও খুনের জন্য ক্ষমতার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হচ্ছে। দুইঃ বাংলাদেশীরা ইতোমধ্যে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য, মারাত্মক লোডশেডিং এবং নতুন নতুন সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তিনঃ আরো অনেক কলঙ্কিত বিষয় রয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এক সৌদি কূটনীতিক গুলিতে নিহত হয়েছেন, এক ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী নির্যাতিত ও খুন হয়েছেন।

চারঃ দুর্নীতির অনুসন্ধান করার পর এক সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকায় মোটরসাইকেলে গোয়েন্দা সংস্থার দুই কর্মকর্তা এই সাংবাদিকের পিছু নিয়েছিল। পাঁচঃ সেনাবাহিনীর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে জানুয়ারিতে ক্যুর গুজব ছড়ানো হয়। ছয়ঃ বাংলাদেশের অন্যতম সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, গ্রামীণ ব্যাংকের মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্তা করা হয়েছে। মতিভ্রমের শিকার শেখ হাসিনা তাকে রাজনৈতিক হুমকি মনে করেন।

বস্তুত সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে কব্জা করতে চাচ্ছে। সাতঃ সরকারের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি এত ব্যাপক যে, তা দাতাদেরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপান তার উপ-প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি ব্যক্ত করেছে।

সাম্প্রতিক এক দুর্নীতির ঘটনায়, রেলমন্ত্রীর সহকারীর গাড়ি থেকে বস্তাভর্তি টাকা পাওয়ার পরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু অল্প পরেই তাকে মন্ত্রিসভায় পুনর্বহাল করা হয়। আটঃ শেখ হাসিনাকে যত একরোখা মনে হচ্ছে, জনগণ তত তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ইতঃপূর্বে তিনি আন্দোলন করেছিলেন, সেটাই এখন বাদ দিয়েছেন। তিনি সম্ভবত আগামী নির্বাচনে আরো ভালোভাবে জয়ের বিকল্পগুলো খোলা রাখতে চাচ্ছেন।

বিস্তারিত এখানে-Click this link... এবার আলোচনায় আসি এ বিষয়ে সরকারের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতায় বলা যায়, সরকারের কিছু মন্ত্রী ও নেতা শেখ হাসিনাকে খুশি করতে আগ বাড়িয়ে কিছু বক্তব্য দিবেন। নেত্রীর সাইকোলজি তারা বুঝেন। তাই বক্তব্যগুলোও গৎবাঁধা তোতাপাখির বুলির মত। আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, নিরাপত্তাহীনতা, যানজট, অসহনীয় লোডশেডিং ইত্যাদি ভয়াবহ সমস্যায় আক্রান্ত হাসতে ভুলে যাওয়া আমজনতা তাদের এসব আবোল তাবোল বক্তব্যে কিঞ্চিৎ বিনোদন লাভ করবে।

এবং আক্কেলগুড়ুম হয়ে যাবে । সৈয়দ আশরাফ, দিলীপ বড়ুয়া, কামরুল, হানিফ, মতিয়া চৌধুরী প্রমুখদের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হতে পারে নিম্নরূপঃ ১। ইকোনমিস্ট এ বিএনপি জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে। ২। বিএনপি জামায়াত এর যোগসাজসে ইকোনমিস্ট এসব প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

৩। ইকোনমিস্ট এর এই প্রতিবেদন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র। ৪। ড. ইউনুস হতে টাকা খেয়ে ইকোনমিস্ট এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ৫।

ইকোনমিস্ট এর এই প্রতিবেদন অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ৬। ইকোনমিস্ট একটি ফালতু পত্রিকা। এদের প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর তাঁদের এসব বক্তব্যের সমর্থনে কাছা বেঁধে মাঠে নামবে অন্ধ সমর্থক কিছু পত্রিকা।

জনকন্ঠ, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল -এসব পত্রিকা ইকোনমিস্ট এর এ প্রতিবেদন এর সংগে বিএনপি জামায়াত সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের জন্য গোয়েবলসীয় কায়দায় দিনের পর দিন অবিশ্বাস্য ও গাঁজাখুরি কিছু প্রতিবেদন ছাপবে। লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ২৬ মে ২০১২, সকাল ১১:৫৮ > প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা ইকোনমিস্ট। গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে রাজনৈতিক উত্তেজনা, দুর্নীতি, খুন, অপহরণ ইত্যাদি বিষয় তুলে দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। একটির শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ’স টক্সিক পলিটিকস : ইট ইজ আপ টু ইন্ডিয়া টু ট্রাই টু স্টপ শেখ হাসিনা রুইনিং বাংলাদেশ’। অপরটির শিরোনাম ছিল ‘পলিটিকস ইন বাংলাদেশ : দ্য প্রাইম মিনিস্টার সেটস দ্য কান্ট্রি অন অ্যা ডেঞ্জারাস পাথ’।

প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ একঃ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হতে প্রায় ১৮ মাস বাকি থাকতেই রাজপথে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। বিরোধী নেতাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, তাদের গুম ও খুনের জন্য ক্ষমতার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হচ্ছে। দুইঃ বাংলাদেশীরা ইতোমধ্যে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য, মারাত্মক লোডশেডিং এবং নতুন নতুন সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তিনঃ আরো অনেক কলঙ্কিত বিষয় রয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এক সৌদি কূটনীতিক গুলিতে নিহত হয়েছেন, এক ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী নির্যাতিত ও খুন হয়েছেন। চারঃ দুর্নীতির অনুসন্ধান করার পর এক সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকায় মোটরসাইকেলে গোয়েন্দা সংস্থার দুই কর্মকর্তা এই সাংবাদিকের পিছু নিয়েছিল। পাঁচঃ সেনাবাহিনীর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে জানুয়ারিতে ক্যুর গুজব ছড়ানো হয়। ছয়ঃ বাংলাদেশের অন্যতম সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, গ্রামীণ ব্যাংকের মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্তা করা হয়েছে।

মতিভ্রমের শিকার শেখ হাসিনা তাকে রাজনৈতিক হুমকি মনে করেন। বস্তুত সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে কব্জা করতে চাচ্ছে। সাতঃ সরকারের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি এত ব্যাপক যে, তা দাতাদেরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাপান তার উপ-প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি ব্যক্ত করেছে। সাম্প্রতিক এক দুর্নীতির ঘটনায়, রেলমন্ত্রীর সহকারীর গাড়ি থেকে বস্তাভর্তি টাকা পাওয়ার পরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু অল্প পরেই তাকে মন্ত্রিসভায় পুনর্বহাল করা হয়। আটঃ শেখ হাসিনাকে যত একরোখা মনে হচ্ছে, জনগণ তত তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ইতঃপূর্বে তিনি আন্দোলন করেছিলেন, সেটাই এখন বাদ দিয়েছেন।

তিনি সম্ভবত আগামী নির্বাচনে আরো ভালোভাবে জয়ের বিকল্পগুলো খোলা রাখতে চাচ্ছেন। বিস্তারিত এখানে-Click this link... এবার আলোচনায় আসি এ বিষয়ে সরকারের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতায় বলা যায়, সরকারের কিছু মন্ত্রী ও নেতা শেখ হাসিনাকে খুশি করতে আগ বাড়িয়ে কিছু বক্তব্য দিবেন। নেত্রীর সাইকোলজি তারা বুঝেন। তাই বক্তব্যগুলোও গৎবাঁধা তোতাপাখির বুলির মত।

আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, নিরাপত্তাহীনতা, যানজট, অসহনীয় লোডশেডিং ইত্যাদি ভয়াবহ সমস্যায় আক্রান্ত হাসতে ভুলে যাওয়া আমজনতা তাদের এসব আবোল তাবোল বক্তব্যে কিঞ্চিৎ বিনোদন লাভ করবে। এবং আক্কেলগুড়ুম হয়ে যাবে । সৈয়দ আশরাফ, দিলীপ বড়ুয়া, কামরুল, হানিফ, মতিয়া চৌধুরী প্রমুখদের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হতে পারে নিম্নরূপঃ ১। ইকোনমিস্ট এ বিএনপি জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে। ২।

বিএনপি জামায়াত এর যোগসাজসে ইকোনমিস্ট এসব প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ৩। ইকোনমিস্ট এর এই প্রতিবেদন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র। ৪। ড. ইউনুস হতে টাকা খেয়ে ইকোনমিস্ট এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

৫। ইকোনমিস্ট এর এই প্রতিবেদন অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ৬। ইকোনমিস্ট একটি ফালতু পত্রিকা। এদের প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্য নয়।

আর তাঁদের এসব বক্তব্যের সমর্থনে কাছা বেঁধে মাঠে নামবে অন্ধ সমর্থক কিছু পত্রিকা। জনকন্ঠ, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল -এসব পত্রিকা ইকোনমিস্ট এর এ প্রতিবেদন এর সংগে বিএনপি জামায়াত সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের জন্য গোয়েবলসীয় কায়দায় দিনের পর দিন অবিশ্বাস্য ও গাঁজাখুরি কিছু প্রতিবেদন ছাপবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.