আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন সাঈদীর পক্ষে!

বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন ও দু'বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষ) সাক্ষী গণেশ চন্দ্র সাহা। পিরোজপুরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আলোচিত শহীদ ভাগিরথীর ছেলে তিনি। প্রসিকিউশন তাকে সাক্ষী হিসেবে রাখলেও তিনি সাক্ষ্য দেননি। এর প্রেক্ষিতে প্রসিকিউশন আবেদন করলে গণেশ চন্দ্র সাহাসহ ১৫ জনের জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সেই গণেশ চন্দ্র সাহা প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষী না দিয়ে মাওলানা সাঈদী সাহেবের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, তার মাকে ৫ পাকিস্তানী সেনা হত্যা করেছে।

মাওলানা সাঈদী তার মায়ের হত্যাকান্ডে জড়িত নয়। তার এই সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে ডিফেন্সপক্ষের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। যদিও আরো তিনজন সাক্ষী এখনো বাকি রয়ে গেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর ডিফেন্সপক্ষের সাক্ষীদের সাফাই সাক্ষ্য শুরু হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হকের নেতৃত্বে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের ট্রাইব্যুনালে এই সাক্ষ্য দেন ডিফেন্সপক্ষের সাক্ষী গণেশ চন্দ্র সাহা।

এরআগে প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল যে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন সেই ১৫ জনের একজন হলেন গণেশচন্দ্র সাহা। এদিকে সাক্ষ্য শেষ হলে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ট্রাইব্যুনালের সামনে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের বলেন, ডিফেন্সপক্ষের বাকি সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা একজন সাক্ষী এনেছেন। তাই ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, সাক্ষী গ্রহণ শেষ। এর মানে মাওলানা সাঈদী সাহেবের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে।

তিনি ডিফেন্সপক্ষের সাক্ষী গণেশ চন্দ্র সাহাকে পক্ষত্যাগকারী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, অর্থের বিনিময়ে প্রসিকিউশনের সাক্ষী ডিফেন্সপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই দাবিকে অস্বীকার করে ডিফেন্সপক্ষের কৌঁসুলি এডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ব্যক্তি তার মায়ের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা বলতে পারে না। কারণ তার মা একজন মহান মানুষ। তার মা ভাগীরথী সাহা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস, নাটক ও গ্রন্থে ভাগীরথী একটি উজ্জ্বল নাম।

পিরোজপুরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। তার মায়ের হত্যার সঙ্গে মাওলানা সাঈদীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। পাকিস্তানী সেনারা তার মাকে হত্যা করেছে। এই সত্য কথাটি বলতে গণেশ চন্দ্র সাহা ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। সাক্ষী দিয়ে তিনি বলেন, মাওলানা সাঈদী তার মায়ের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।

এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো মাওলানা সাঈদী নিরপরাধ ও নির্দোষ। আমরা আগেও বলেছি, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার। তাজুল ইসলাম বলেন, সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের কাছে তার মায়ের মৃত্যুর বর্ণনা দেয়ার পর তাতে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। তাকে সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলা হলে তিনি তাতে রাজি হননি। আর এজন্য প্রসিকিউশন তাকে নিখোঁজ সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছিলেন।

তাই তিনি প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষী না দিয়ে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, অর্থের বিনিময়ে গণেশ চন্দ্র সাহার সাক্ষ্য প্রদানের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রসিকিউশনের মিথ্যাচার। ডুবন্ত মানুষ যখন বাঁচার জন্য খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করে তার প্রমাণ মাত্র। প্রসিকিউশন এই সাক্ষীকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য সাক্ষী দিতে চেয়েছিল। দেশের মানুষ জানে প্রসিকিউশনের হাতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, পুলিশ ও ক্ষমতা।

এরপরেও সাক্ষী গণেশকে হাজির করতে ব্যর্থ হয়ে এমন অভিযোগ করছে। গত ২০ মার্চ প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ৪৬ জন সাক্ষীর বিষয়ে একটি আবেদন দিয়ে জানানো হয় তাদের পক্ষে এসব সাক্ষী হাজির করা আদৌ সম্ভব নয়। এরপর ২৯ জুন ট্রাইব্যুনাল ৪৬ জন সাক্ষীর তালিকা থেকে ১৫ জনের জবানবন্দি তাদের অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করে আদেশ প্রদান করেন। অনুপস্থিতি সাক্ষীদের মধ্যে গণেশ চন্দ্র সাহার নামও ছিল। প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে আলোচিত হত্যাকান্ড শহীদ ভাগিরথী হত্যাকান্ড।

পাকিস্তান সেনারা তাকে গাড়ির পেছনে বেঁধে নির্মম এবং বর্বরোচিত উপায়ে হত্যা করে। তিনি পাকিস্তানী সেনাক্যাম্পে কাজ করতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার অভিযোগে পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে হত্যা করে। মাওলানা সাঈদীর দেয়া খবরের ভিত্তিতে ভাগীরথীকে হত্যা করা হয় মর্মে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই ভাগিরথীর ছেলে সাক্ষ্য দিলেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে।

ডিফেন্সপক্ষের আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনসারী জানান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ক'জন সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয় এর মধ্যে গণেশ চন্দ্র সাহার নামও ছিল। প্রসিকিউশন তাদের ৪৬ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে আনা দুরূহ, ব্যয়বহুল এবং অনেকেই ডিফেন্সপক্ষের হুমকিতে বাড়ি ছাড়া এ কারণ দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার নিকট দেয়া জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন করে। প্রসিকিউশন পক্ষের এই আবেদনের বিরোধিতা করে ডিফেন্সপক্ষের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে জানান, প্রসিকিউশনপক্ষ যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন তা সঠিক নয়। এসব সাক্ষী এলাকা ছেড়ে কোথাও যাননি। তারা তদন্তকর্মকর্তার নিকট যা জবানবন্দি দিয়েছেন তা তদন্তকর্মকর্তা যথাযথভাবে লিখেননি।

তদন্তকর্মকর্তা নিজের মনগড়া মতো জবানবন্দি লিখে ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছেন। তাছাড়া কোন কোন সাক্ষী সেফহাউজে এসেছিলেন। কিন্তু প্রসিকিউশনপক্ষের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ট্রাইব্যুনালে আসেননি। ট্রাইব্যুনাল পরে এক আদেশে ৪৬ জন থেকে ১৫ জনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে। ওই ১৫ জনের মধ্যে গণেশ সাহার নাম ছিল।

সাক্ষী গণেশ চন্দ্র সাহার গতকাল মঙ্গলবারের জবানবন্দি : আমার নাম গণেশ চন্দ্র সাহা। আমার বয়স আনুমানিক ৫১ বছর। আমার মা ভাগীরথী সাহা ১৯৭১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা থাকতো। আমার মা মিলেটারি ক্যাম্পে কাজ করতো।

আমার মা ক্যাম্পের খবরা-খবর মুক্তিযোদ্ধাদের পৌঁছিয়ে দিতেন। মতিউর রহমান সরদার, কালু মোল্লা, জলিল মোল্লা, হানিফ খান এরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মতিউর রহমান সরদার বর্তমানে পিরোজপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। মা রাতের বেলায় বাসায় আসত এবং সকাল বেলা ক্যাম্পে যেত। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমার মা কি কথা বলতেন তা আমাদের শুনতে দিতেন না।

কিছুদিন পরে আমাদের গ্রাম বাগমারায় মিলিটারি আসে তখন মুক্তিবাহিনী ও মিলিটারির মধ্যে গোলাগুলী হয়। ১০ জন মিলিটারি মারা যায়। অস্ত্র ফেলে মিলিটারিরা পিরোজপুরে পালিয়ে যায়। আমার মা ঐ দিন পিরোজপুর ক্যাম্পে ছিলেন। ঐ দিন আমার মা বাড়িতে ফিরে আসে নাই।

তারপর দিন আমরা দু'ভাই মায়ের খোঁজে যাই। আমার অপর ভাইয়ের নাম কার্তিক চন্দ্র সাহা। তিনি বর্তমানে মৃত। ১২টার দিকে আমরা শুনি এক মহিলাকে ধরে নিয়ে গেছে তিনি আমার মা, আরো শুনি মিলিটারি তার কোমরে এবং পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাড়িতে করে টেনে নদীর ধারে নিয়ে গেছে। ওখানে গিয়ে দেখি মায়ের শরীর তক্ষ-বিক্ষত, গাড়িতে ৫ জন লোক বসা।

মাকে মেরে নদীর চড়ে ফেলে রেখেছে। ঐ ৫ জনের ভিতর ৪ জনের হাতে অস্ত্র, একজন ড্রাইভার সবাই খাকি পোশাক পরা। এই ৫ জনকে আমি চিনি না। এরা কি কথা বলতো তা বুঝতে পারি নাই। কিছুক্ষণ পরে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।

এদের সাথে কোনো রাজাকারকে দেখি নাই। একজনকেও চিনতে পারি নাই। বছর দেড়েক আগে আমি জানতে পেরেছি এই মামলার আমি সাক্ষী। বৈশাখ মাসের শেষে আমি জানতে পেরেছি। আমার মায়ের মৃত্যুর ব্যাপারে সাংবাদিক এবং কোর্টের লোক আমার কাছে গিয়েছিল।

তাহারা আমার কাছ থেকে এই মৃত্যুর কথা শুনে এসেছে। আমার মায়ের মৃত্যুর ব্যাপারে আজকেই আমি প্রথম সাক্ষ্য দিচ্ছি। এই মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার ব্যাপারে বৈশাখ মাসের শেষে রফিক ভাই আমার সাথে দেখা করেছে। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আপনার মাকে কারা মেরেছে? আমি বলেছি, মিলিটারিরা মেরেছে। তখন তিনি বলেছেন, না আরো অন্য মানুষেরাও মেরেছে।

তখন আমি বলেছি, না শুধু পাক সৈন্যরাই মেরেছে। তখন তিনি বলেন, তুমি দিবিব করে বল। আমি বলেছি যে, না। আমার মায়ের মৃত্যুর কাহিনী নাটক ‘নোবেলে' আছে, সবাই দেখেছে, প্রতি বছর হচ্ছে। নাটক ‘নোবেল' পিরোজপুরে হয়।

এছাড়া অন্য কোনো কেউ আমাকে অন্য কোনো কথা বলে নাই, রফিক ভাই আমাকে আবারো বলেন, আমার বাবা তোমার মাকে মেরেছে? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি আপনার বাবা কে? উনি বলেন, সাঈদী সাহেব, তখন আমি বলি, না উনি আমার মাকে মারেননি। এরপর বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে সাক্ষী গণেশ চন্দ্র সাহার জেরা শুরু হয়। জেরা করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। প্রশ্ন : রফিক ভাইকে কতদিন ধরে রফিক ভাই ডাকেন? উত্তর : রফিক ভাই একদিনই আমাদের বাড়িতে গিয়েছেন এবং তাকে আমি একদিনই দেখেছি। প্রশ্ন : সেটা কবে? উত্তর : বৈশাখ মাসের শেষ দিকে পিরোজপুরে তিনি ওয়াজ অথবা মাহফিল করতে যান।

তখনকার ঘটনা এটি। প্রশ্ন : বৈশাখ মাস এখন থেকে কতদিন আগে হবে? উত্তর : সাত মাস আগে ছিল। প্রশ্ন : ওয়াজ শুনতে গেছেন? উত্তর : না। প্রশ্ন : আপনাকে পেলেন কিভাবে? উত্তর : উনি আমাদের বাড়ি যাওয়ার পরে আমি মাঠে ছিলাম, মোবাইলে আমাকে ডেকে নিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন : ওনার সাথে আর কেউ ছিলেন? উত্তর : আরেকজন গিয়েছিল।

প্রশ্ন : তাকে চেনেন? উত্তর : চিনি, তার নাম নান্না, রফিক ভাইয়ের মামা না কি হয়। প্রশ্ন : আর কেউ গিয়েছিল? উত্তর : ঐদিন ছাড়া আমার কাছে কেউ আর কোনো দিন যায় নাই। প্রশ্ন : কেন সে একথা আপনাকে জিজ্ঞাসা করছেন তা জানতে চেয়েছিলেন? উত্তর : হ্যাঁ। তিনি বলেন, তোমার মাকে কে মেরেছে তাতো জানি না, তাই জানতে এসেছি, আমার জানার দরকার আছে। প্রশ্ন : এতদিন পরে কেন জানতে আসছেন এ কথা তাকে জিজ্ঞাসা করেছেন? উত্তর : না।

প্রশ্ন : তিনি অন্য কোনো বাড়িতে গিয়েছিলেন? উত্তর : না। প্রশ্ন : আপনার মায়ের নামে পিরোজপুরে ভাগীরথী চত্বর আছে। উত্তর : হ্যাঁ। প্রশ্ন : কোর্টের লোক কদ্দিন আগে গেল আপনার কাছে? উত্তর : গত ফাল্গুনে কোর্টের লোক আমার নিকট গিয়েছিল। গিয়ে বলেছে, আমরা কোর্টের লোক, কোর্ট থেকে তদন্তের জন্য এসেছি।

প্রশ্ন : যে গিয়েছিল সে তার পরিচয় দিয়েছিল বা নাম বলেছে? উত্তর : নাম-ধাম বলেন নাই, তারা বলেছিল, তারা ঢাকা থেকে এসেছেন, আমিও তাদেরকে নাম জিজ্ঞাসা করি নাই। এক সপ্তাহ পরে উনারা আবার গিয়েছিলেন। প্রশ্ন : আপনার মাকে কারা মেরেছে বা কি কি ঘটনা ঘটেছিল তা আপনি কোর্টের লোকদের কাছে বলেছেন? উত্তর : হ্যাঁ। প্রশ্ন : রাজাকারের কথা শুনেছেন? উত্তর : রাজাকার কারা দেখিনি। তবে শুনেছি।

প্রশ্ন : কার মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে এটা জানেন ? উত্তর : মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি মিলিটারিদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে এটাই আমি বুঝেছি। প্রশ্ন : রাজাকারেরা কি করতো? উত্তর : আমি শুনেছি রাজাকারেরা মানুষদের ধরে নিয়ে পাক সেনাদের হত্যায় সহযোগিতা করতো। প্রশ্ন : কোর্টের লোক যারা তদন্ত করতে গিয়েছিল তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন হেলাল সাহেব? উত্তর : এটা হতে পারে। প্রশ্ন : ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল সাহেবই কি কোর্টের উক্ত ব্যক্তি কিনা? উত্তর : হ্যাঁ। প্রশ্ন : আপনি যে মামলায় সাক্ষী দিতে এসেছেন সে মামলাটি কার বিরুদ্ধে করা হয়েছে জানেন? উত্তর : সাঈদী সাহেবের ছেলে রফিক আমাকে বলেছেন, আপনি আমার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কিনা।

আমি বলেছি না। তাহলে এটা কোর্টে গিয়ে বলতে পারবো কিনা জানতে চাইলে আমি বলেছি পারবো। একথা বলতেই আমি কোর্টে এসেছে। প্রশ্ন : আপনার মা হত্যার ব্যাপারে পারের হাটের সাঈদী সাহেবের প্রত্যক্ষ হাত ছিল? উত্তর : এটা মিথ্যা প্রশ্ন : এ কথাগুলো না বলার জন্য রফিক সাহেব তার মামা ও সাঈদী সাহেবের লোকজন টাকা দিয়ে ভুল বুঝিয়ে সাক্ষ দেয়ার জন্য এ ট্রাইব্যুনালে আপনাকে নিয়ে এসেছেন? উত্তর : এটা সত্য নয়। প্রশ্ন : আপনি ঢাকায় এসছেন কীভাবে? উত্তর : নান্না ভাই আমাকে পিরোজপুর থেকে নিয়ে এসেছেন, এখানে তার সঙ্গে আমি একটি হোটেলে ছিলাম।

সকালে উনি আমাকে কোর্টে নিয়ে আসেন। প্রশ্ন : অর্থের বিনিময়ে আপনি পক্ষ ত্যাগ করেছেন? উত্তর : এটা সত্য নয়। প্রশ্ন : আপনার মায়ের হত্যায় সাঈদী সাহেবের হাত ছিল এটা জেনেও সত্য গোপন করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন? উত্তর : এটা সত্য নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.