জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগের বিষয়ে আজ রোববার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। পরে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে আজ ইউসুফের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী ও ঋষিকেশ সাহা। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ইউসুফ হাজির ছিলেন।
শুনানিতে ঋষিকেশ সাহা রাষ্ট্রপক্ষের আনুষ্ঠানিক অভিযোগগুলো পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে বাগেরহাট জেলার রামপালে শান্তি কমিটির সভায় ইউসুফ প্রকাশ্যে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ ও হিন্দুদের সম্পদ লুণ্ঠন ও ধ্বংসের আদেশ দেন এবং কচুয়ায় ১০ গ্রামের তিন থেকে চার শতাধিক হিন্দুর বাড়ি লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করেন। তিনি রনজিতপুর ও মোরেলগঞ্জ বাজারে গণহত্যা করেন। শুনানিতে কৌঁসুলি মুক্তিযুদ্ধকালে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে ইউসুফের সম্পৃক্ততা ও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে ধরেন।
ঋষিকেশ সাহার শুনানি শেষে সৈয়দ হায়দার আলী শুনানি করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-১ ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করেন। রাষ্ট্রপক্ষ গত ৮ মে ইউসুফের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার সাতটিসহ ১৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২ মে ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ট্রাইব্যুনাল তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।