সেরেনার বুলেট গতির সার্ভ। মারিয়া শারাপোভা র্যা কেটই ছোঁয়াতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গেই উল্টো হয়ে বসার ভঙ্গিতে সেরেনা তাকালেন আকাশের দিকে। তবে আকাশটা তিনি ঠিক দেখতে পেরেছেন কি না বলা মুশকিল। কারণ, জয়ের আনন্দে দুই হাতে নিজেই ঢেকে রেখেছেন মুখ।
ওই এইসের মাধ্যমে পাওয়া পয়েন্টই নিশ্চিত করে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। সেরেনার ১১ বছরের অপেক্ষা শেষ। মুহূর্তেই আকাশের দিক থেকে মুখ নামিয়ে চুমু এঁকে দিলেন রোলাঁ গারোঁর লাল দুর্গে। এরপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে অভিনন্দন বিনিময়, দর্শকদের দিকে চুমু ছোড়া, হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানানো। ব্যস, এটুকুই।
না, শিরোপা উদ্যাপন ঠিক জমল না।
এখন শিরোপা জিতলেই সেরেনা উইলিয়ামস বাচ্চাদের মতো আনন্দে নাচানাচি-লাফালাফি শুরু করে দেন। অথচ অনেক প্রতীক্ষার শিরোপার পর কিনা এমন সাদামাটা উদ্যাপন! তবে কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটা হাতে ওঠার পর ঠিকই উচ্ছ্বাসটা বেরিয়ে এল। প্যারিসে মার্কিন তারকা একমাত্র শিরোপাটি জিতেছিলেন ২০০২ সালে। ১১ বছরের অপেক্ষার পর কাল শারাপোভাকে হারিয়ে এল দ্বিতীয়টি।
যেটা তাঁর ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা নিয়ে গেল ১৬-তে।
গত বছর এই ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেই ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লাম পূর্ণ করা শারাপোভার জন্য ছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশন। কিন্তু সেই ২০০৪ সালের পর থেকে যে সেরেনা-জুজু পেয়ে বসেছে তাঁকে, তা কাটাতে পারলেন না কালও। শুরুটা অবশ্য শারাপোভা করেছিলেন দুর্দান্ত। জিতে নেন প্রথম দুটি গেমই।
কিন্তু তার পরই শুরু হলো সেরেনার রাজত্ব। ৬-৪, ৬-৪ গেমে জিতে সেরেনা গড়লেন উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি বয়সে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের রেকর্ড। পেছনে ফেললেন ১৯৮৬ সালে ৩১ বছর পাঁচ মাস বয়সে জেতা স্বদেশি ক্রিস এভার্টকে। সেরেনা জিতলেন ৩১ বছর আট মাস বয়সে। সব মিলিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেনে তাঁর চেয়ে বেশি বয়সে শিরোপা জিতেছেন আর একজনই, ১৯৫৮ সালে জসুসা কারমোজি জিতেছিলেন ৩৩ বছর বয়সে।
সার্ভই সেরেনার বড় শক্তির জায়গা। কালও সেই সার্ভ দিয়েই ধরাশায়ী করেছেন প্রতিপক্ষকে। এইস মারলেন ১০টি। উল্টো দিকে শারাপোভা এইস মেরেছেন মাত্র দুটি, খেই হারিয়ে চারবার পুরেছেন ডাবল ফল্টের হতাশায়।
এমন জয়ের পর সেরেনা বলছিলেন, ‘১১ বছর পর (এখানে তাঁর প্রথম শিরোপার) আজ (গতকাল) এটা আমার জন্য ছিল কঠিন।
এখন আমার ১৬টি গ্র্যান্ড স্লাম। আগামী বছর আমি আবার এখানে ফিরে আসতে চাই। কারণ, আমি প্যারিসকে ভালোবাসি, প্যারিসের মানুষকে ভালোবাসি। ’ এএফপি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।