কবিতা
|| রাক্ষস বাবা ||
ওলে পেটের ভিতর কে?? বাবা না মা!!
কেমন আছিস বিড়াল ছানা।
আমি তোদের মা লক্ষ্মী সোনা মা।
মা বলে ডাকবি না মাম্মী, হি হি হি
তোরা মা বলেই ডাকবি, উহ বল ডাকবি।
জানিস কত ঘোরের মাঝে দিন রাত নির্ঘুম,
তুই বা তোদের আদুরে অনুভুতি সারা শরীর মন জুড়ে।
আজ আসবে তোদের বাবা, আমার সপ্ন খুলবো তবে,
একটু লজ্জা আর বিশাল ভয় কভু অস্তিত্ব বিলীন না হয়।
টিং টং ঘন্টা বাজে, ঐ বুঝি এল সে সন্ধার সাজে।
তুমি আছো কেমন বলতো।
সব গুনে চার পক্ষ তোমার জন্যে করেছি হাশফাস,
হ্যা এইবার কিছু বলি, রাগ করবে নাতো!
|| আরে বলবেইতো আলবৎ তবে কোলাহলের পর।
এসো এসো এগিয়ে গেথে নাও উদাম বক্ষে। ||
যাহ দুষ্টু পরে হবে ক্ষণ।
রাততো জেগেই আছে।
আচ্ছা যদি শুধাই বাসর হবে কবে?
|| হা হা হা তবে এত মিলন এগুলা কি!!
তুমি সত্যিই বোকা এখন চুপ এসো উষ্ণ বিশ্বাস এগিয়ে। ||
নাহ বলোই না, কাগজের নৌকায় পুরানো আমায় ভাসাবে কবে।
বলো বলো বলো, আজ তবে জানতেই হবে, জানাতে হবে ছানাকে।
|| ছানা!! কবে কখন কিভাবে কেন??
এত জলদি নয়, আছে সমাজের ভয়।
||
নাহ ভোরের আলোতে দাড়াতে চাই,
চাই চাই চাই সমাজ চাই, পরিবার চাই, আদর নির্ভয় জোছনা চাই।
|| হবেনা বলেই আমি জানাতে চাই,
অন্য পথে অন্য রথে আমি ভাসতে চাই,
তুমি চললে এসো নাইলে নাই।
তবু বলি ধরে নাও ও সন্তান আমার নয়, নেই কোন পরিচয়।
মুছে ফেলো, ছিড়ে ফেলো, জ্বালিয়ে দাও রদ্দি।
ফ্যাকাশে আস্তাকুড়ে আত্মা ছড়িয়ে দাও।
পশু পাখী মানুষ জাতি সব ভুলেই যাবে রাতা রাতি। ||
আমি মানুষ পশু নই, আমি মা রাক্ষসী নই।
আমি দেবী, বেশ্যা নই।
আমি বাচবো ভোরের আলো দেখবো দেখাবো।
তুমি জানবে না, মানবে না যদিও ভাংবে নাহ,
তুমি পশু তুমি জানোয়ার, কুকুর বিড়াল ইতর তুল্য,
বেলা অবেলায় ধিক শত ধিক,
মানুষ বলে গালি বিধাতা তুলে নিক।
নখের আচর, মিথ্যা নিঃশ্বাস আর নোংরা কালো থাবা,
আজ তুই কামিত কাপুরুষ, তুই রাক্ষস বাবা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।