ধরুন আমেরিকান এক নাগরিককে কানাডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী বোম মেরে হত্যা করলো, এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে একবার ভাবুন! আমার মনে হয় সর্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধে মার্কিন সেনাপতি এক চুল পেছাবেননা। কিন্তু হায় আমাদের প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশীকে বোম মারলে কিছুই হয়না, যদিও সেই দিনটি বাংলাদেশীদের বিজয় দিবস! এমনি এক করুন উপহার আজ বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তে বোমার আঘাতে আনোয়ার হোসেন (২৭) নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন মোহর আলী (২৫) নামে আরো একজন। সংবাদ উৎস ।
বিজয় দিবসে এমন উপহার না দিলেই কি হতনা! বিজয় দিবসে বাংলাদেশী হত্যা করে কি বুঝানো হলো! বুঝানো হলো যে এ স্বাধীনতা তো ভাই পরাধীনতার স্বাধীনতা! এতো আনন্দের কি আছে বলো! তাই এবার একটু কাদো; কাদো বাংলাদেশী কাদো।
পাকিস্থান ২৩ বছরে পূর্ব পাকিস্থানকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি শোষণ করেছে ভারত বিগত ৪০ বছরে। পাকিস্থান আমাদের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিস্ঠান দিয়েছিল। জাবি, চবি, বাকৃবি, রাবি'র মত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় আমরা সে সময় পেয়েছি। আর আজ বাংলাদেশ ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো গড়ে তুলতেই হিমসিম খাচ্ছেন।
তৎকালীন পাকিস্থানের চেয়ে আজকে ভারতের বাংলাদেশকে নানাভাবে ঠকানোর পরিমান আরো বেশি। স্বাধীনতার পর আজমজী পাট কলের মত অসংখ্য কল-কারখানা গড়ার চেয়ে বন্ধই বেশি হয়েছে। পাকিস্থান আমলে জনসংখ্যার ৫৬% আমরা হওয়া পরেও চাকরিতে পেতাম ৪০%। আর এখন ৫৫% কোটায় মেধাহীন অথাৎ কম মেধাবীরা অযোগ্য হলেও চাকুরি পাচ্ছেন যা আজকের বাংলাদেশকে নানাভাবে ঠকানোর উদাহরণ।
মালয়েশিয়া যখন বলে 'এক মালয়েশিয়া', তখন স্বাধীনতার ৪০বছর পরেও আমরা জাতিকে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ দু'ভাগে বিভক্ত করা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি! আজকে বিচারপতি, আইনজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, শ্রমিক, কৃষক সব জায়গাতেই ২ দলে বিভক্ত।
৭২ ঘণ্টায় ১২ ও ৭ মাসে ৬২৫ গুপ্তহত্যা; ৭২-৭৫ এর মত গুপ্তহত্যার ভয়াবহতায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দেশটি আজ বিধ্বস্ত ও মৃত্যুপুরী। হায় আমার দেশ, হায় স্বাধীনতা!
স্বাধীনতা আমার আজন্ম পরাধীনতা ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।