আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখলাম...

আতাউর রহমান কাবুল নানা কারনেই বেশ কিছুদিন থেকে মনটা খুব খারাপ যাচ্ছিল। এবার কোরবানী ঈদও করলাম ঢাকায় একা একা, গ্রামে যাইনি যদিও কোরবানী গ্রামে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকেই থাকি হাতিরপুল, ভুতের গলি এলাকায়। এলাকার কতিপয় বন্ধু রিপন, অরুন, নাছির, তানভীর, তামিমরা মিলে ঈদের দিনই সিদ্ধান্ত নিলাম কোথাও বেড়াতে যাব। সে মোতাবেক ১১.১১.১১ তারিখ শুক্রবার আমরা ২৫-২৬ জন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ঘাটের উল্টো দিকে পদ্মা নদীর তীরবর্তী কোন এক চরে।

উদ্দেশ্য পিকনিকসহ অনেকদিন পর নদীতে গোসল। ঢাকা থেকে মাইক্রোযোগে মাওয়া ঘাটে পৌছে সেখান থেকে প্রখর রোদ্রে ট্রলারে করে পদ্মার পারে পৌছলেও তেমন সমস্যা হয়নি। আমরা সবাই ছেলে বন্ধু। চরে নেমে সবাই মিলে প্রথমেই ফুটবল খেললাম। অনেক ক্লান্ত হয়ে এরপর নদীতে নেমে দৌড়ঝাপ-গোসল-সাতার-ছবি তোলা সবই করলাম।

অবশ্য যারা সাতার জানত না তারা প্রমত্ত পদ্মায় ডুবে যাবার ভয়ে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করল। আমি গ্রামের ছেলে, সাতার কাটার অভ্যাস বেশ ভালই রপ্ত। তবে বছরের পর বছর প্রাকটিস নেই। তারপরও নদীর অনেক দুরে গিয়ে বন্ধুদের ডাকাডাকিতে ফিরে এলাম। ফেরার পথে বেশ ভয়ই পাচ্ছিলাম।

আসতেও বেশ কষ্ট হচ্ছিল। পায়ের তলায় পানির নাগাল পাচ্ছিলাম না অনেকক্ষন। গ্রামের পুকুর আর পদ্মা নদীতে সাতার কাটার তফাৎটা বেশ টের পাচ্ছিলাম। দেখলাম আমাদের পাশেই কয়েকজন নদীতে নেমেছে। চর থেকে ১০-১৫ হাত দুরে নদীতে (কোমর পর্যন্ত পানি হবে) আছে।

তারা কিছুক্ষন আগেই ট্রলারে করে সেখানে এলো। সাথে একজন মাঝারী বয়স্ক মহিলাও আছে, ট্রলার আসার পথে দেখছিলাম মহিলার স্বামী সেলফোন দিয়ে ছবি তুলছিল। তখন সন্ধা ঘনিয়ে আসছে। আমরা ভিজা কাপড়-চোপড় পাল্টে নিলাম। খাওয়া দাওয়া রেডি।

সবাই খেতে শুরু করব। এর ফাঁকে পড়ন্ত বেলায় কিছু ছবি তুলছি। হটাৎ নদী থেকে বাঁচান, বাঁচান.. হেল্প, হেল্প বলে জোড়ে চিৎকার..। তাদের এক লোক নাকি পানিতে ডুবে যাচ্ছে! আমি দেখলাম কয়েকজন পানিতেই আছে, কাউকে ডুবতে দেখা যাচ্ছেনা। দৌড়ে কাছে গিয়ে জানলাম একজন নয়, দুইজন লোক নদীতে রীতিমত ডুবে গেছে।

যারা একটু আগেই সিবোটে করে এসেছিল। কোন কিছু না ভেবেই সেলফোন আর মানিব্যাগটা কার যেন হাতে রেখে জিন্সের প্যান্ট আর টি শার্ট পড়া অবস্থাতেই নদীতে ঝাপিয়ে পড়লাম। চোরাবলির গল্প বেশ শুনেছি। কিন্তু তখন ওসব কিছু মনে হলো না। দুইজন মানুষকে বাঁচাতে হবে এই চেষ্টায় অনেকক্ষন খোঁজাখুজি করলাম।

পানির অনেক গভীরে ডুব দিয়ে পা দিয়ে দেখলাম, কিন্তু কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিক্ষন ডুবে থাকা যাচ্ছে না, প্রচন্ড ঠান্ডাও লাগছে। এমনিতেই আগের দিনও সর্দি-জ্বরের কারনে সারাদিন বিছানায় শুয়ে ছিলাম। বাকী স্বজনদের কান্নাকাটি ততক্ষনে চর মাতিয়েছে। তখন সন্ধা ঘনিয়ে আসছে।

জিন্সের প্যান্ট ও গেন্জি পরা অবস্থায় পানিতেও বেশিক্ষন থাকা যাচ্ছে না। তারপরও আমি ডুবছি আর ভাসছি। কিন্তু কোন জায়গায় ডুবে গেছে ছেলে দুটো পানিতে থেকে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তারপরও আছি, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক পর্যায়ে আমাদের বন্ধুরা আমাকে উঠে আসতে বলল।

তারপরও উঠছিনা। মানুষ গুলো ডুবে আছে পানির নীচে, আর আমরা প্রায় ৪০ জনের মত লোক পানির ওপর! উফ্ ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অবশেষে আমি ব্যর্থ হয়েই পার-এ উঠলাম। আমাদের আরও দুই বন্ধুও পানিতে নেমেছিল। তারাও ব্যার্থ হয়ে পারে উঠল।

শুনলাম ঢুবে যাচ্ছিল মোট তিন জন। একজনকে ট্রলারের মাঝি একটি ছোট ছেলে সাতরিয়ে তীরে নিয়ে এসেছে। বেঁচে যাওয়া ভাইটি বিলাপ করছে ‌'আমি আমার বাবার কাছে কি জবাব দিব?' কি করব কিছু ভেবে পাচ্ছি না। দুটো লোক পানির নীচে প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে! ভাবতে খুব খারাপ লাগছে। আমাদের পত্রিকার ঢাকা অফিসে ফোন করে মোবাইল নম্বর নিয়ে 'আমার দেশ' মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমানকে বিষয়টি জানালাম যেন তাড়াতাড়ি ডুবুরি আনার ব্যবস্থা করে।

সে সাধ্যমত চেষ্টা করল, কিন্তু এই রকম তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার মত সাপোর্টিভ টিম ওই এলাকায় নেই জানা গেল তার কথায়। সত্যিই আমরা কত অসহায়!!! ইতোমধ্যে ওখানে পাওয়া গেল স্থানীয় কয়েকজন জেলেকে। আমরা সবাই মিলে অনুরোধ করলাম। তারা মোটেই বিলম্ব না করে তড়িত গতিতে জাল ফেলল। কিছুটা এরিয়া ধরে জাল টেনে আনা হলো।

মাছ ধরার দৃশ্যের মত আমরা অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে আছি, কিন্তু জালে কিছুই এলোনা। এভাবে পার হয়ে গেছে প্রায় ঘন্টা খানেক সময়। হটাৎ দুইজন জেলে বাঁশ দিয়ে খোঁচাতে খোঁচাতে জানাল, কিছু একটা বাঁশে আটকে যাচ্ছে। আবার জেলেদের জাল ফেলা হলো। কিছুক্ষন পর তুলে আনা হলো একজন নিথর দেহের তরতাজা যুবককে।

যেহেতু আমার দেশ পত্রিকার ‌‌স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্বে আছি ও মেডিকেল বিষয়ে কাজ করছি-তাই এ বিষয়ে কিছুটা প্রাথমিক জ্ঞান আমার ছিল। প্রথমেই যুবকটির কাপড় চোপড় একটু হালকা করে বুকে-পেটে হালকা চাপ দিলাম বেশ কয়েকবার। কিছুক্ষন পর পর আমার মুখ দিয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস দিলাম। একে বলা হয় CPR (cardio pulmonary resuscitation) বা কৃত্রিম ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা. (এখানে জানিয়ে রাখি-কারো Cardiac arrest হলে শরীরের কোষ গুলোতে রক্ত পৌছাতে পারে না। এজন্য প্রথমেই আপনাকে এই সিআরপি পন্থায় রক্ত পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

এটা অনেক দরকারি একটা জিনিস যা আমাদের সবার জানা উচিত। রোগী যদি নিঃশ্বাস না নেয় তাহলে আপনার দু আঙ্গুল দিয়ে তার নাক বন্ধ করে, তার মুখের সাথে আপনার মুখ লাগিয়ে ফু দিবেন। যদি বুক ফুলে উঠে তাহলে বুঝবেন ফু ঠিক আছে। এভাবে ২বার ফু দিন। প্রতিটা ফু হবে ১ সেকেন্ড করে।

যদি এর পরেও রোগী কোন ধরনের নড়াচড়া না করে, কাশি না দেয় বা নিঃশ্বাস স্বাভাবিক না হয় তাহলে তার বুকে চাপ দিতে দিতে হবে। নিপলের ঠিক মাঝ বরাবর দু হাত দিয়ে প্রায় ২ ইঞ্চির মত চাপ দিতে হবে। এভাবে ৩০বার চাপ দেবেন। মনে রাখতে হবে চাপ গুলো যেন খুব দ্রুত হয়। ১ সেকেন্ডে ১টির বেশী চাপ দিতে হবে।

এভাবেই ২বার ফু দেবার পর ৩০ বার চাপ দিয়ে যেতে হবে, যতক্ষন পর্যন্ত রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌছাতে না পারবেন। ঘটনাস্থলে আপনি একা না হলে ২জন মিলেও CPR দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একজন মুখ দিয়ে ২বার ফু দিবে আর একজন ৩০বার বুকে চাপ দিয়ে যাবে। ) যাই হোক এগুলো যথাসাধ্য করার পরও যুবকটির কোন সারা শব্দ নেই। নাক দিয়ে কি যেন বের হচ্ছে বালিসহ।

এই অবস্থায় অন্য কেউ তার মুখ দিয়ে দম নিয়ে এই কাজটি করছে না। তাঁর বেঁচে যাওয়া ভাই কয়েকবার দম দিল-এরপর তার নিজেরই বমি করার মত অবস্থা! উপায়ানন্তর না দেখে আমাদের বন্ধুদের সহযোগিতায় তাড়াতাড়ি ট্রলারে করে পাঠানো হলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। এদিকে আমাদের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান ফোন করল শ্রীনগর উপজেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শফিককে। তিনিও সহযোগিতা চেয়ে বিষয়টি লোকাল পুলিশকে জানালেন। কিন্তু না ডুবুরি-না পুলিশ কারোর কোন খবর নেই।

আমাকে বারবার ফোন করে শ্রীনগরের ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ তাড়াতাড়ি পাঠাতে বললেন শফিক। সে ওখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)-কে সব ঘটনা বলে নিজেও বসে অপেক্ষা করছে। কর্তব্যরত ডাক্তার ছাড়াও আরও ৩জন ডাক্তার রেডি ছিল সেই মূহুর্তে। সেখান থেকে প্রয়োজনে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানোর জন্যও তারা কথা বলেও রেখেছিল জানা গেল পরে। ততক্ষনেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, কিন্তু অপর একজন তরুনের সন্ধান নেই।

তাহলে বাকী লাশটা পাওয়া যাবে না কি? খুব আফছোছ হতে লাগল। কিছুক্ষন পর জেলেরা আর একজনকে পারে তুলল। দেখলাম মুখে কালো দাড়িওয়ালা একজন ইয়াং তরুন। স্বাস্থ্য দুইজনেরই বেশ ভালো। আমাদের বন্ধুদের একজন জেলেদের চাহিদামত কিছু টাকা বকশীষ দিল।

পরে উদ্ধার করা যুবকটিকে (বলা যায় ততক্ষনে লাশ) নিয়ে আমাদের ট্রলার (সিবোট) ছুটছে। আমি ঢাকার কিছু ডাক্তারকে ফোন করলাম, তেমন কাউকে পেলাম না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ডিন, দেশের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: এবিএম আবদুল্লাহ স্যারকে পেয়ে তড়িৎ পরামর্শ চাইলাম। তিনি একই পরামর্শ দিলেন আগের তরুনটির বেলায় যা করেছি। পাশাপাশি হাত-পা নাড়ানাড়ি করতে বললেন।

ট্রলারের মধ্যেই এগুলো প্রয়োগ করেও কোন সাড়াশব্দ পাওয়া গেলনা। ততক্ষনে তিঁনিও হয়তো পরাপারে চলে গেছেন...। তারপরও বেচে যাওয়া ছেলেটি অন্য আর একজন হাতের-পায়ের তালু মেসেজ করছে। শরীর নাকি গরম আছে তারা জানাল। আমি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

ঘাটে এসে ধরাধরি করে ট্রলার থেকে নামালাম। তাঁকেও দ্রুত প্রথমে রিক্সাভ্যান পরে সিএনজি যোগে পাঠানো হলো শ্রীনগর ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ। কিছুক্ষন পর হাসপাতাল থেকে আমাদের শ্রীনগর প্রতিনিধি শফিক জানাল, প্রথম জন অলরেডি মারা গেছেন (ইন্না নিল্লাহে... ...রাজেউন)। তাঁর নাকি নাক দিয়ে প্রচুর বালু ঢুকে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তাররা জানালেন, শুধুমাত্র পানিতে ডুবে থাকলে ঘন্টা পার হলেও বাঁচার সম্ভাবনা থাকে।

কিন্তু বালি দিয়ে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারা যান তিনি। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল সবার। কিসের খাওয়া আর কিসের কি? টেনশন করছি আর খোঁজ নিচ্ছি। কিছুক্ষন পর আবার জানলাম অপরজনও ডেড (ইন্না নিল্লাহে... ...রাজেউন)। আমার শরীরে তখনও ভেজা প্যান্ট আর গেন্জি পরা।

খালি পা, জুতাগুলো হাতে। কপালে হাত দিয়ে দেখি জ্বর এসে গেছে রীতিমত। সন্ধার পর বিষন্ন মন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম সবাই। আমাদের দুই প্রতিনিধিকেই অনুরোধ করলাম, যেহেতু দূর্ঘটনা, তাই পুলিশি কোন ঝামেলায় যেন না পরে সে ব্যবস্থা করে লাশ দুটি ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। এর আগেই অবশ্য খবর পেয়ে ঢাকা থেকে তাদের আত্নীয় স্বজনরা হাসপাতালে এসে গেছেন।

সেখানে কান্নাকাটির রোল পরে গেছে। আমি সংবাদটি পাঠানোর জন্য প্রতিনিধি দুজনকে বলে আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদককে ফোন করে জানালাম ঘটনাটি। তাঁদের স্বজনদের একজনের ফোন নম্বর রেখেছিলাম। পরে জানলাম- যারা মারা গেছেন তারা দুই জন-ই কোরআনের হাফেজ। একজনের নাম ফয়জুল ইসলাম (২৪) অপরজনের নাম রফিকুল ইসলাম রকি (২৫)।

একজন পড়াশোনা শেষ করে মিডফোর্ডের এক ওষুধের দোকানে চাকরি করত। আর একজন ৩০ পারা কোরআন খতম দিয়ে মাওলানা বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। তাদের বাসা পুরান ঢাকার তাঁরা মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বেচারাম দেউরির পায়রা চত্বরে। একজনের বাবার নাম হাজী মো: সেলিম, যিনি মোহাম্মদীয়া ডেকোরেটর ও রেজা পার্টি সেন্টারের মালিক।

অপরজন হাজী মো: সেলিম সাহেবের বোনের ছেলে যিনি ছিলেন মায়ের একমাত্র সন্তান। যাঁরা মারা গেছেন-তারা আমার কেউ নয়, এমনকি কোনদিন তাদেরকে দেখেনি। তবুও ঢাকায় ফিরে বাসায় উঠতে উঠতে খুব কান্না হচ্ছিল। বাসায় এসেও ঘরে একা একাই কাঁদলাম। বাসার কাউকে কিছু জানালাম না।

রাতে পানি ছাড়া কিছু খেলাম না। নামাজ পড়ে দোয়া করলাম আল্লাহ পাক যেন তাঁদের বেহেস্ত নসীব করেন। আশাবাদি হলাম এ কারনে যে, কয়েকদিন পূর্বেই পড়েছি-ছহীহ হাদীছ বর্ণিত আছে, পানিতে ডুবে মারা গেলে নাকি শহীদি মৃত্যু হয়। আল্লাহ পাক-ই ভাল জানেন। সবশেষে বলি, আসুন সবাই আল্লাহ পাকের বিধিবিধান মেনে চলি।

যেই মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখলাম, আসুন সেই মৃত্যুর জন্য তৈরি হই। অন্তত: মৃত্যুর আগে যেন এতটুকু বলতে পারি-ইনশাআল্লাহ্ ভাল থাকব আখেরাতে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন। আতাউর রহমান কাবুল সাব এডিটর দৈনিক আমার দেশ বি:দ্র: নিউজটা আমার দেশ এ ছাপা হয়েছে। লিঙ্ক হলো- Click This Link ইত্তেফাক এর লিঙ্ক: Click This Link বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ আরও কয়েকটি মিডিয়ায় এসেছে বলে জানলাম।

কিন্তু এতে কিছুটা তথ্যগত ভুল হয়েছে। তাঁরা ওখানে ফুটবল খেলেনি, খেলেছি আমরা। আর আমরা যাবার আগে ওই চর ছিল জনমানব শুন্য। আমাদের ফুটবল খেলা দেখেই হয়তো তারা সেখানে গিয়েছিল। নিজেদেরই বরং দায়ী মনে হচ্ছিল।

নিউজে ছাপা হয়েছে তারা চোরাবালিতে পরে মারা গেছে! এটা কি তাহলে চোরাবালি ছিল? আর চোরাবালিতে আটকে গেলে কি পানির মধ্যেই ডুবে যায়? বিষয়টা আমার জানা নেই। কিন্তু আমিওতো পরে অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাঁদেরকে পানিতে ডুবেই খুঁজলাম। শুনেছি চোরাবালিতে যতজন-ই যায় সবাই ডুবে যায়! হয়ত আমারও মৃত্যু হয়ে যেতে পারতো! তাহলে হয়ত ভালই হতো-শহীদি মর্যাদা পেতাম। যাই হোক, ধন্যবাদ স্থানীয় জেলেদের যাদের জন্য লাশগুলো তোলা সম্ভব হয়েছিল। ধন্যবাদ আমার সকল বন্ধুদের।

আমাদের প্রতিনিধিদের ভূমিকার জন্যও অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শোকরিয়া যে-তিনি আমাদের সুস্থ্য অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.